ওমিক্রনের জেরে ফের একবার ওয়ার্ক ফ্রম হোম। বন্ধ স্কুল কলেজ। এবার দিনের অধিকাংশ সময়ই কাটবে বাড়িতেই। তাই বাড়ির পরিবেশকে যাতে কোভিড ১৯-এর আতঙ্ক প্রভাবিত না করতে পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে। বাড়ির পরিবেশে পজিটিভিটি ও গুড ভাইবস থাকলে কাজে, পড়াশোনায় মন ভাল মন বসবে। তাই বাড়ির পরিবেশ সুখকর রাখতে অন্দরসজ্জায় এই তিনটে জিনিস যোগ করতে পারেন। তবে চিন্তা নেই এতে পকেটেও টান পড়বে না। কীভাবে? দেখে নিন-
বাড়িতে ইনডোর প্ল্যান্ট রাখতে পারেন
জেট, পাইন গাছ, অ্যারেকা পাম, জার্বেরা ডেইসি, স্পাইডার প্ল্যান্ট, স্নেক প্ল্যান্ট, পিস লিলি আরও কতকী। নানা ধরনের ইন্ডোর প্ল্যান্টের মধ্যে থেকে আপনার পছন্দের ইন্ডোর প্ল্যান্ট বেছে নিন।ইন্টারনেট দেখে এই বিষয়ে বাড়তি তথ্য জোগাড় করতে পারেন। অন্তত দু তিন রকমের ইন্ডোর প্ল্যান্ট নিয়ে আপনার পছন্দের জায়গায় রাখতে পারেন। এই ইন্ডোর প্ল্যন্টগুলো বাড়ির ভিতরের হাওয়া পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি বাড়িতে ভিতরের পরিবেশ সুন্দর ও মনোরম করে তোলে। একখানেই শেষ নয়। এদের মধ্যে অনেকগুলি গাছে শরীর ভাল রাখতে ভীষণ কার্যকরী। পাশাপশি মনও ভাল রাখে।
ঘরের জানলা খোলা রাখুন
বাড়িতে জানলা থাকলে সারক্ষণ ভারী পর্দায় ঢেকে রাখবেন না। সূর্যের আলো ঘরে ঢোকা ভাল।পাশাপাশি জানলা খোলা থাকলে ঘরে হাওয়া চলাচল হলে পরিবেশ ভাল থাকে। ভাল থাকে শরীর ও মনও। তাই সকালে উঠেই প্রথম যে কাজটা করবেন সেটা হল ঘরের জানলা খুলে দেওয়া। দেখবেন আগের দিনের মন খারাপ, দুশ্চিন্তা, ক্লান্তি সব নিমেষে উধাও।
বাড়ি রাখুন আলো ঝলমলে
সারা দিনের খাটাখাটনির পর বাইরের ভিড়ভাট্টা থেকে বাড়ি ফিরে আধো আলো পরিবেশ নিঃসন্দেহে মনোরম। কিন্তু সারাক্ষণ এই ধরনের পরিবেশে থাকলে এর নেতিবাচক প্রভাবও পড়তে পারে। তাই সূর্যের আলো ঘরে ঢোকা ভাল। আর যদি সেভাবে বাইরের ঘরে আলো না ঢোকে তা হলে আর্টিফিশিয়াল লাইট ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে কাজ করার সময় জোড়ালো আলোই ভাল। ওয়ার্ম ইয়েলো কিংবা ব্রাইট হোয়াইট লাইট বাড়িতে ব্যবহার করে দেখুন। পরিবেশ বদলে যাবে। ঘর আলোকিত থাকলে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হবে। এতে মন ভাল ও চনমনে থাকবে। কাজ করতে সুবিধে হবে।
(ছবি সৌ: Power of Positivity)