রোজ এরঘেয়ে খাবার খেতে কারই বা ভাল লাগে! সে আপনি যতই ডায়েট করুন না কেন এক আধ দিন নির্দিষ্ট খাদ্যতালিকার কড়াকড়ি উপেক্ষা করে অনেকেই মাঝেমধ্যে রসনার তৃপ্তি সুখ খুঁজে নেন। এতে তেমন দোষের কিছু দেখেন না বিশেষজ্ঞরা তাদেরও এই বিষয় মত আছে। যদিও নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়ারের ওপরই সব সময় জোর দেওয়া হয়। তবে উৎসবের মরসুমে খাওয়াদাওয়ার হিসেব নিকেশের ওলটপালট হলে যাতে আপনার স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব না ফেলতে পারে সেই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
খাবারের অনিয়ম হলে যাতে তা মাত্রাতিরিক্ত না হয়ে পড়ে সেই ভারসাম্যটা বজার রাখা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে বজায় রাখবেন সেই ভারসাম্য রইল সহজ উপায়-
উপোস করা
অনুষ্ঠান বাড়ি কিংবা গেট টুগেদার বা পার্টি রকমমারি খাবার চেটেপুটে খাওয়ার পর যদি অন্তত ১৬ ঘন্টা উপোস করে থাকার অসাধ্য সাধন করতে পারেন। তা হলে কোনও সমস্যা নেই। এতে খাবার দেখলেই যদি খাই খাই বাতিক থাকে তা নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে আবার নিত্যদিনের খাদ্যাভ্যাসের ফিরতে সুবিধে হবে।
প্রোটিন ও সবজি খান
চিট মিলের পরের দিন পারলে প্রোটিন যুক্ত খাবার ও বেশি করে সবজি খান। এটা আপনার রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
লো ক্যালোরি ডায়েট
মাঝে মধ্যেই মশালাদার খাবার কিংবা মন ভরে মিষ্টি খাবার ঘন ঘন ইচ্ছে হলে লো ক্যলোরি ও হাই ফাইবার যুক্ত খাবার খান। যাতে চিট মিলস খাওয়া পর শরীর ঠিক রাখা যায়। ফাইবার যুক্ত খাবার পেট দীর্ঘক্ষণ ভরিয়ে রাখবে।
ক্যালোরি বার্ন করুন
চিট মিলের পরে নিজের পুরোনো দিনচর্যায় ফিরে যান আর এক্ষেত্রে শরীরচর্চা অত্যন্ত আবশ্যক। যদি ওয়ার্ক আউট না করতে চান তাহলে অন্তত ৬০ মিনিট হাটুন। দেখবেন শরীর ঝরঝরে লাগবে।
পর্যাপ্ত জল খান
চিট মিলস মানেই নানা রকম মশালাদার খাওয়ার কিংবা সোডিয়াম ও চিনিতে ভর্তি খাবার। তাই শরীরের থেকে এই সব বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমানে জল। তাই চিট মিলস খাওয়ার পর প্রায় ২ থেকে ২.৫ লিটার খান। তবে শুধু চিট মিলস খেলেই নয় শীতকালে ঠান্ডার কারণে জল তেষ্টা কম পায়। তবে জল খাওয়ার এই নিয়ম ভুললে চলবে না। প্রাপ্তবয়স্করা জল খাওয়ার এই মাত্রা বজায় রাখলে উপকার পাবেন।