শীতের কনকনে ঠান্ডা হাওয়া যেন আপনাকে কাবু করতে না পারে তাই নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন আমলকির তৈরি নানা রকমের খাবার। আমলকির গুন নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণের ভিটামিন সি। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে দারুণ ভাল কাজ করে আমলকি। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে আমলকি ভীষণ কার্যকরী। এক কথায় আমলকি হল পুষ্টির পাওয়ার হাউস। তাই বিভিন্ন রকমের জীবাণুর সংক্রমণ ও ঠান্ডা লাগা কিংবা সর্দি কাশিতে আমলকি ভীষণ ভাল কাজ করে। এছাড়াও ডায়াবিটিস, ক্যানসার, হার্টের সমস্যা, হাইপার টেনশন ও কিডনির সমস্যাতে আমলকি বেশ কার্যকরী। এমনকি চুলের সমস্যাতেও কাজে আসে আমলকি। শীতকালে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন তাঁরা আমলকি খেলে উপকৃত হবেন। তাই দিনে একটা করে আমলকি খেলে অনেক সমস্যার সহজ সমাধান হতে পারে। তবে আমলকির কড়া স্বাদের জন্য অনেকেই কাঁচা আমলকি খেতে পারেন না। তাই কাঁচা না খেয়ে আর কোন কোন উপায়ে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় আমলকি রাখবেন দেখে নিন-
আমলকির গুঁড়ো- খালি পেটে ইষদুষ্ণ জলে এক চা চামচ মধুর সঙ্গে এক চা চামচ আমলকির গুঁড়ো গুলে খেতে পারেন।
আমলকির জুস- হালকা গরম জলের সঙ্গে ২০ মিলি আমলকির রস মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে পারেন।
চ্যবনপ্রাশ- চ্যবনপ্রাশের প্রধান উপকরণ হল আমলকি। তাই শুধু আমলকি খেতে ভাল না লাগলে সকালে খালি পেটে কিংবা খাবার খাওয়ার দু’ঘন্টা পরে গরম জলের সঙ্গে এক চা চামচ চ্যবনপ্রাশ খেতে পারেন।
আমলকির মুরাব্বা বা আচার- আমলকির মুরাব্বা কিনে বা বাড়িতে বানিয়ে খেতে পারেন। খাবারের সঙ্গে কিংবা শেষপাতে খেতে মন্দ লাগবে না।
আমলকি রোদে শুকিয়ে-আমলকি টুকরো টুকরো করে নুন মাখিয়ে কিংবা আপনার পছন্দ মত মশলা মাখিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। রোজ আপনার ইচ্ছে মত খান। এই শুকিয়ে রাখা মশলা মাখানো আমলকি সঙ্গে রাখতে পারেন। মুখশুদ্ধি হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।