বাজারে থেকে কেনা নামী ব্র্যান্ডের দামী প্রোডাক্ট কিংবা ঘরোয়া টোটকা, শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যায় বিফল সব কিছু! এই অবস্থা যদি আপনার হয় তা হলে বরং একবার শুষ্ক ত্বকের জন্য কোরিয়ান স্কিনকেয়ার রুটিন মেনে দেখতে পারেন। বিউটি ওয়ার্ল্ডে যা কিছু ট্রেন্ডিং সেই সব কে ছাপিয়ে এখন কোরিয়ান মেকআপ লুক ও কোরিয়ান স্কিনকেয়ার রুটিনের রমরমা। তাই শুষ্ক ত্বকে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা জুগিয়ে কীভাবে তা স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলা যায় দেখে নিন-
যে কোনও স্কিন কেয়ার রুটিনের মতো কোরিয়ান স্কিন কেয়ারে ক্লেনজারের ব্যবহার আসে সব থেকে প্রথমে। তবে শুষ্ক ত্বকের জন্য এমন ক্লেনজার ব্যবহার করতে হবে যা মুখ পরিষ্কার করার পাশাপাশি ত্বক হাইড্রেট করে ত্বকে পুষ্টি জোগায়। এছাড়া মুখে জমে থাকা ধুলো-ময়লাও পরিষ্কার করে। কোরিয়ান স্কিনকেয়ারে ডাবল ক্লেজিং করা হয়। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে ডাবল ক্লেনজিংয়ের সময় রাইস ওয়াটার ব্যবহার করুন। এটা দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে মুখে কোনও ইরিটেশন হবে না এবং ত্বকের আর্দ্রতা বা নিজস্ব তেল নষ্ট হবে না।
ত্বকের ওপর মৃত কোষের আস্তরণ জমে ত্বক আরও রুক্ষ হয়ে যায়। তাই সপ্তাহে অন্তত এক বার এক্সফোলিয়েট করুন। এটা করলে মৃত কোষ সরে গিয়ে নতুন কোষ ওপরে আসবে এর ফলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
শুষ্ক ত্বক যাদের তারা টোনার বাছার সময় হাইড্রেটিং টোনার ব্যবহার করুন। ভাল টোনার আপনার মুখের ত্বকের পিএইচ ব্যলেন্স বজায় রাখে।
টোনার লাগানোর পর সকালে ও বিকেলে হাইড্রেটিং সিরাম অবশ্যই লাগান। এমন সিরাম বাছুন যা ত্বকে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা জোগাতে পারে।
ত্বকে শিট মাস্ক লাগান এটা শুষ্ক ত্বকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাবে এর ফলে ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
শুষ্ক ত্বকে ম্যাজিকের মতো কাজ করে হায়ালিউরোনিক অ্যাসিড। তাই এমন ময়শ্চারাইজার বাছুন যাতে হায়ালিউরোনিক অ্যাসিড রয়েছে। সেরামাইড বা গ্লিসারিন যু্ক্ত প্রোডাক্টও বেশ ভাল। তবে এগুলো ছাড়াও আরেকটি উপাদান সঙ্গে থাকা জরুী তা হল ভিটামিন বি। শুষ্ক ত্বকের জন্য এই সব উপকরণ যু্ক্ত ময়শ্চারাইজার বাছুন।
আবহাওয়ার তারতম্যে সমস্যা হলে শুষ্ক ত্বকে ময়শ্চারাইজার লাগানোর পর ফেসিয়াল অয়েল লাগাতে পারেন। এটা ত্বকে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা জোগাতে সাহায্য করে।
ত্বক শুষ্ক হলে সানস্ক্রিনের ব্যবহার আরও বেশি জরুরী। কারণ, সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মি ত্বকের শুষ্কতা আরও বাড়িয়ে তুলবে।
শুষ্ক ত্বকের সব শেষে অবশ্যই আই ক্রিম লাগান। চোখের আশেপাশের অংশ সব থেকে বেশি সংবেদনশীল। তাই এর বাড়তি যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন।