সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনসার থেকে নিউট্রিশনিস্ট কিংবা ডায়েটিসিয়ান চিয়া বীজের গুনগান আজকাল সকলের মুখে মুখে। এমনকি জুটেছে সুপারফুডের তকমাও। আর হবে নাই বা কেন এই চিয়া বীজ হল একেবারে পুষ্টির খনি। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ম্যাগনেশিয়াম, ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, জিঙ্ক, আয়রণ, ভিটামিন ই ও ক্যালসিয়াম। তাই নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় এই চিয়া বীজ রাখলে কীভাবে উপকার পাবেন জেনে নিন-
চিয়া বীজ ইনফ্লেমেনশন কম করে
চিয়া বীজ শুধু যে শরীরের জ্বালা যন্ত্রণা দূর করে তা নয় বরং শরীর ঠান্ডা করে। তাই গরমকালে এই চিয়া বীজ ভীষণ উপকারী। গরমকালে ত্বকের এই ইনফ্লেমেশন বেড়ে যায় আর চিয়া বীজ এই সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি শরীরকে ঠান্ডা রাখে।
চিয়া বীজ শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখে
এই বীজে প্রচুর পরিমানে ফাইবার রয়েছে। এই ফাইবার জল শুধু শুষে নেয় না বরং জলে ধরে রাখে। তাই হাইড্রেটর হিসেবে এই চিয়া বীজ দারুণ কার্যকরী। পাশাপাশি এটা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এর ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে না।
চিয়া বীজ ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পরতে দেয় না
চিয়া বীজে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই চিয়া বীজ পরিবেশে থাকা ফ্রি রেডিকেলস যাতে শরীরের ক্ষতি না করতে পারে তার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে দীর্ঘক্ষণ থাকলে এই ফ্রি রেডিকেল শরীরের ক্ষতি করে। এই ফ্রি রেডিকেলস দূরে রাখার পাশাপাশি চামড়ার কুচকানো ভাব ও বলি রেখা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এই চিয়া বীজে প্রচুর পরিমানে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এই কাজে সাহায্য করে।
চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখে চিয়া বীজ
রোজ চিয়া বীজ খেলে চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখে ও চুলের জৌলুস বাড়িয়ে তোলে।
কীভাবে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় এই চিয়া বীজ রাখবেন জেনে নিন-
জলের সঙ্গে চিয়া বীজ মিশিয়ে সারাদিন ধরে খেতে পারেন।
ফ্রুট বউল বা স্মুদিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে শরীরে শক্তির সঞ্চার হবে।
আবার ত্বক ভাল রাখতে চিয়া বীজের জেল লাগাতে পারেন এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে এবং ত্বকে একটা ন্যাচারাল গ্লো আসবে। ত্বকের ক্ষেত্রে এটা অনেকটা অ্যালোভেরা জেলের মত কাজে করে।