নিত্যদিনের ব্যস্ততায় ধাপে ধাপে দীর্ঘসময় ধরে রূপচর্চা করার সময় ও ধৈর্য অনেকেরই থাকে না। এদিকে প্রচণ্ড রোদ, পরিবেশ দূষণ, নিত্যদিনের ধকলের ছাপ যাতে ত্বকের ওপর না পড়ে তার জন্য নিয়মিত ত্বকের পরিচর্যার প্রয়োজন রয়েছে। এই অবস্থায় সহজভাবে রূপচর্চা সারতে অত্যন্তু কার্যকরী তিনটি কাজ তা হল ক্লেনজিং, টোনিং ও ময়শ্চারাইজিং। তবে এই গরমে অনেকে আবার কোনওমতে বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে মুখ পরিষ্কার করেই কাজ সারেন এই অভ্যেস দীর্ঘস্থায়ী হলে বলা বাহুল্য ত্বকের জৌলুস হবে ক্ষণস্থায়ী। শুধু মুখ পরিষ্কার ও ময়শ্চারাইজা করলেই হবে না ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে টোনার সমান গুরুত্বপূর্ণ।
কেন নিয়মিত টোনারের ব্যবহার এত গুরুত্বপূর্ণ
ত্বকের ছিদ্র সঙ্কুচিত করে
সিবাম নিঃসরণ ছাড়াও তৈলাক্ত ত্বকের আরও একটি সমস্যা হল রোমকূরেপ মুখ বড় হয়ে যাওয়া। ত্বকের ওপর ছোট ছোট ছিদ্র থাকে। অনেক সময় নানা কারণে এই ছিদ্র বড় হয়ে অনেকটা গর্তের মতো দেখতে লাগে। তখন ত্বক বয়স্ক দেখায়। পাশাপাশি রোমকূপের মুখ বড় হয়ে যাওয়ায় তাতে ধুলো ময়লা জমতে শুরু করে। এর ফলে ত্বকে জীবাণু সংক্রমণ এবং একাধিক সমস্যার সৃষ্টি করে। এ ক্ষেত্রে টোনার খুব ভাল কাজ করে। টোনার এই ছিদ্রগুলিকে সঙ্কুচিত করে এবং আকারে অনেকটা ছোট করে দেয়। এর ফলে ত্বক মসৃণ দেখায়।
ত্বক টানটান করে
শুধু ছিদ্রের সঙ্কোচনই নয় নিয়মিত ব্যবহারে টোনার ত্বক টানটান করে ও চামড়ার কুঁচকে যাওয়া কিংবা বলিরেখা কম করে।
মেকআপ পরিষ্কার করে
অনেক সময় ক্লেনজারের ব্যবহারের পরও মুখে মেকআপের অবশিষ্ট থেকে যায়। এ ক্ষেত্রে টোনার ভীষণ কার্যকরী। ত্বক একেবার ঝা চকচকে পরিষ্কার করতে টোনার ভীষণ কার্যকরী। এছাড়া টোনার তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে রাখে ও ত্বকের ওপরের স্তরে বাড়তি তেল জমতে দেয় না।
ত্বক একে বারে তরতাজা করে তোলে
টোনার দিয়ে দিনের শুরু ও দিনের শেষ করলে ত্বক সব সময় তর তাজা থাকে। পাশাপাশি টোনার গোটা দিনের ধকলে ক্লান্ত ত্বক পুনরুজ্জীবিত করে তোলে।
ত্বকের রক্ষা করে
নিয়মিত টোনার ব্যবহারে ত্বকের ওপরের স্তর সুরক্ষিত থাকে। পরিবেশে থাকা ফ্রি র্যাডিক্যাল ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে বাচিয়ে রাখে।
আরও পড়ুন: বাজার থেকে না কিনে বাড়িতেই প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে তৈরি করে নিন টোনার
(ছবি সৌ: Unsplash)