কোভিডকালে বাজার চলতি প্রোডাক্টের বদলে অনেকেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে মেনে রূপচর্চায় মন দিয়েছেন। রান্নাঘরে ব্যবহৃত নিত্যদিনের উপকরণ যেমন নিম, হলুদ, মধু দিয়ে একাধিক রূপচর্চা নিয়ে নেট দুনিয়াও মশগুল। তা এই উপকরণগুলির উপকারিতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। তবে রূপচর্চায় ফলের উপকারিতা কি আপনার জানা আছে? কমলালেবু ও পাতি লেবুর গল্প আমরা সবাই জানি। তবে এগুলো বাদে রূপচর্চায় অন্য ফলের উপকারিতা খুব একটা জানা না থাকলে জেনে নিন। ত্বক ও চুলের নানা সমস্যার সমাধানে ফলের জবাব নেই। কোন ফলে কী সুফল মিলবে, এ বার রইল তারই হদিস।
চুলের চাকচিক্য ও দৈর্ঘ্য বাড়াতে পাকা কলার অবদান :
চুলে শাইন আনতে কলার জবাব নেই। দু’চামচ মধুর সঙ্গে দু’টো কলা চটকে চুলে লাগিয়ে আধঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেললেই ফল পাবেন হাতেনাতে। তবে চ্যাটচেটে বলে অনেকেরই চুলে কলা লাগাতে আপত্তি থাকে। তাঁরা পাতিলেবুর রস চায়ের জল মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। শ্যাম্পু করার পর শেষবার ধোয়ার সময় এই মিশ্রণটা দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে চুলে ঔজ্জ্বল্য আসবেই, পাবেন বাড়তি বাউন্স। অনেকের আবার চুলের গোড়া খুব নরম হয়। ফলে সহজেই চুল উঠে যায় এবং লম্বা হতে চায় না। তারা তিনটে কলার খোসার সঙ্গে একটা ডিম ও দু’ চামচ শিকাকাই মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। প্যাকটি আধঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে।
কনুই ও হাঁটুর কালচে দাগ দূর করবে কলা: ত্বক শুষ্ক থাকায় অনেকের কনুই ও হাঁটুর খুব খসখসে হয় ও কালচে ভাব থাকে, তাঁরা এই প্যাকটা ব্যবহার করতে পারেন। দু’টো কলার সঙ্গে দু’চামচ চিনি মিশিয়ে ওই অংশে হাল্কা হাতে ঘসুন।
শুধু কনুই বা হাঁটু নয়, অনেকের হাতও খুব শক্ত হয়। তাঁরা দু’টো চটকানো কলার সঙ্গে দু’চামচ ওটমিল এবং পাতিলেবুর রস মিশিয়ে লাগাতে পারেন। মিনিট কুড়ি মতো প্যাক হাতে লাগিয়ে রাখতে হবে। শুকিয়ে গেলে ক্লকওয়াইজ গোল করে ঘষে তুলে নিন।
রোদে পোড়া ত্বকের যত্ন নেবে পেঁপে : এক চামচ ক্রিম, এক চামচ চিনি আর একটা চটকানো পেঁপের তিন ভাগের একভাগ ভাল করে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। মিশ্রণ ঠান্ডা হলে এক চামচ নিয়ে মুখে মালিশ করুন। চিনির দানাগুলো পুরোপুরি গলে গেলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদন নিয়মমেনে পেঁপের এই প্যাক দিয়ে ত্বক মালিশ করলে ত্বকের কালচে ভাব দূর হবে।
(তথ্য সৌজন্য: NIN)