ওজন কমানোর হিড়িকে অনেকেই হয় ভাত খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেন কিংবা একেবারেই বন্ধ করে দেন। তবে একেবারে ভাত খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া কতটা ঠিক? এই নিয়ে সেলিব্রিটি নিউট্রিশনিস্ট রুজুতা দিবেকর একেবারে ভিন্ন মত পোষণ করেন। তাঁর একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই নিয়েই বিষদে আলোচনা করেছেন তিনি।
রুজুতা জানিয়েছেন, চালে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে এর ফলে শরীর সুস্থ রাখতে ভাত খাওয়া প্রয়োজন। এবং ভাত খেলে সার্বিক স্বাস্থ্য বজায় থাকবে বলে জানিয়েছেন রুজুতা দিবেকর। সেগুলি কী কী জেনে নিন-
View this post on Instagram
চাল একটি প্রি বায়োটিক খাদ্য শস্য। এবং এটা শুধুমাত্র আমাদের খিদেই যে মেটায় তা নয় বরং আমাদের শরীরে যে বিভিন্ন রকমের মাইক্রোবস রয়েছে, সেগুলির ইকোসিস্টেম কে পুষ্টি জোগায় চাল।
হাতে তৈরি কিংবা সিঙ্গেল পলিশড চাল দিয়ে নানা রকমের পদ বানিয়ে খাওয়া যায়।
আমরা যেভাবে ডাল, তরকারি, ঘি, মাছ মাংস দিয়ে ভাত খাই তাতে আমাদের রক্তে থাকা শর্করা দ্রুত কাজ করে এবং শরীরের শক্তির সঞ্চার হয়।
ভাত সহজে হজম হয় তাই পাচনক্রিয়ার ওপর কম জোর পরে এবং ভাত খেলে ভাল ঘুম হয়। ঘুম ভাল হলে হরমোনাল ব্যালেন্স বজায় থাকে। বিশেষ করে বাচ্চাদের এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে ভাত খুব উপকারী।
ত্বকের জন্যেও ভাত খাওয়া ভীষণ উপকারী। শরীরে প্রোল্যাকটিন লেভেল বেশি থাকলে রোমকূপের ছিদ্র বড়ে হয়ে মুখে দাগের সৃষ্টি হয়। ভাত খেলে এই রোমকূপের মুখ বড়ে হয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
থাইরয়েডের কারণে চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে থাকলে ভাত চুলের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে এবং চুল ভাল রাখে।
চালের কোনও কিছুই নষ্ট যায় না। ধানের ভুসি পশুদের খাওয়াতে লাগে।
ফসল কাটার পরও ধান মাটিতে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা বজায় রাখে। এই মাটি ডাল জাতীয় খাদ্য শস্য বড় করার কাজে লাগে। এবং এই ডাল মাটিতে নাইট্রোজেনের মাত্রা বজায় রাখে।