বিউটি ওয়ার্ল্ডে রূপচর্চার সামগ্রীর অভাব নেই। ত্বকের হাজারো সমস্যার সমাধানে একদিকে যেমন রয়েছে নানা রাসায়নিক যুক্ত সামগ্রী তেমনই আবার রয়েছে প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি একাধিক সামগ্রী। এ রকমই একটি হল কুমকুমাদি তৈলম বা তেল। এই কুমকুমাদি তেল আজকের নয় আয়ুর্বেদে এর ব্যবহার রয়েছে সেই প্রাচীন যুগ থেকেই। তবে হাল ফিলে সোশাল মিডিয়ার হাত ধরেই ত্বকের পরিচর্য়ায় নতুন করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই কুমকুমাদি তেল।
কুমকুমাদি তেল কি?
এই তেল হল একধরণের ভেষজ আয়ুর্বেদিক তেল। প্রায় ২১ ধরনের ভেষজ উপাদান দিয়ে তৈরি এই বিশেষ তেলের গুনের শেষ নেই। তাই এখন বিউটি ওয়ার্ল্ডে রীতিমতো বাজার কাঁপাচ্ছে এই আয়ুর্বেদিক তেল। কুমকুমাদি তেলের এই ২১ ধরনের উপাদানের মধ্যে রয়েছে কেশর, গোলাপের তেল, হলুদ, চন্দন ও আমন্ডের তেল ও সামান্য তিলের তেলও রয়েছে। এই তেল কিছুটা ঘণ ও গাঢ়, ব্যবহারের সময় তাই খুব বুঝে শুনে করতে হবে না হলে রোমকূপের মুখ বন্ধ না হয়ে যায়।
কুমকুমাদি তৈলামের উপকারিতা
নিয়মিত এই তেলের ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। কেশর, চন্দন ও হলুদের কারণে একদিকে যেমন ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে আবার অন্যদিকে মুখের কালো ছোপ, ব্রণর দাগ ছোপ পরিষ্কার করে তোলে।
সিবাম বা ত্বকের নিজস্ব তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। কুমকুমাদি তেলে যতই ঘণ ও ভারী হোক না কেন এই তেল তৈলাক্ত ত্বকের জন্যেও বেশ কার্যকরী। এতে যে সব প্রাকৃতিক উপকরণ রয়েছে যে রোমকূপ থেকে বাড়তি তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে রাখে পাশপাশি রোমকূপের মুখও পরিষ্কার রাখে। তবে যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের এই তেল ব্যবহার করতে হবে খুবই বুঝে শুনে। খুব বেশি হলে তেলের শুধুমাত্র দু’ফোটা-ই যথেষ্ট।
নানা রকমের জীবাণু সংক্রমণের হাত থেকে ত্বকের রক্ষা করে। ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ হোক কিংবা, ত্বকের জ্বালাভাব, ত্বকের শুষ্ক হয়ে যাওয়া কিংবা চুলকুনি, খুবই অল্প মাত্রায় নিয়মিত এই তেল ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। এখানেই শেষ নয় এই কুমকুমাদি তেলের অ্যান্টি ফাঙ্গাল কার্যকারিতাও রয়েছে। তাই ত্বকের নানা রকমের সংক্রমণের ক্ষেত্রে এই তেল ভীষণ উপকারী।
(ছবি সৌ: Unsplash)