পৃথিবীতে প্রায় ৩৫ রকমের আম রয়েছে। ফজলি, হিমসাগর, ল্যাংড়া ইত্যাদি। কিন্তু জানেন কি কীভাবে করা হয়েছে এই সমস্ত আমের নামকরণ, আসুন জেনে নিই,
হিমসাগর- হিমসাগর হল আমের রাজা বাংলাদেশ দুই ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলায় এই আমের ফলন বেশি ভালো।
আম্রপালি- উন্নত জাতের আম এক গাছে এক বছর ফলে, পরের বছর ফলে না। কিন্তু আম্রপালি প্রতিবছর ফলে। ‘দশেরী’ এবং ‘নিলম’ জাতের দুটি আমের সংকরায়নের মাধ্যমে নতুন এ জাতটি উদ্ভাবন করেন। যার নাম দেয়া হয় আম্রপালি।
ফজলি আম- শোনা যায় জল তেষ্টা মেটানোর জন্য গ্রামের এক মহিলার কাছে জল খেতে চান। ফজলু বিবির বাড়ির আঙিনায় থাকা আম দিয়ে সাহেবের আপ্যায়ন করেন। সেই থেকে এই আমের নাম হয় ফজলি আম।
ল্যাংড়া- শোনা যায় ভারতের এক খোড়া ফকিরের নামে আমটির নামকরণ হয়েছে। ফকিরের আস্তানা থেকে এই জাতের আম প্রথম পাওয়া যায়।
খিরসাপাত- ময়মনসিংহের মহারাজা সুতাংশু কুমার আচার্য্য বাহাদুর চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে গড়ে তোলেন একটি আমবাগান। সেই বাগানইে অন্যান্য উৎকৃষ্ট জাতের আমের সঙ্গে চাষ হতো খিরসাপাত আম।
হাড়িভাঙা আম- মালদায় এক কৃষক মাটির হাঁড়ি দিয়ে ফিল্টার বানিয়ে গাছে জল দিতেন। একদিন রাতে ওই মাটির হাঁড়িটি ভেঙে ফেলে কয়েকজন। ওই গাছে বিপুল পরিমাণ আম ধরে। এরপর সেগুলো বাজারে বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে গেলে, লোকজন ওই আম সম্পর্কে জানতে চায়। সেই থেকে আমের নাম হয় হাড়িভাঙা।
গোপালভোগ- বাংলাদেশের সব জেলাতেই এই আম পাওয়া যায়। ল্যাংড়া আমের পরেই গোপালভোগের স্থান। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন কতটা সুস্বাদু
আলফানসো- ভারত ও বাংলাদেশে এই আম পাওয়া যায়। পর্তুগীজ এক সামরিক বিশেষজ্ঞেরআলফানসু ডি আলবাকারকির নামানুসারে এই আমের নাম রাখা হয়
সুবর্ণরেখা- সোনালী রঙের কারনে আমটি দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। তাই এই আমের নাম সুবর্ণরেখা।