গ্রীষ্মকালের প্যাচে প্যাচে গরম ও বর্ষাকালের বৃষ্টিতে চুল খোলা রাখার উপায় নেই। কিন্তু শীতকালে খোলা চুলের স্টাইল ‘ইজ দ্য মোস্ট ইন থিং’! গাঢ় রঙের গরম পোশাকে খোলা চুলের লুক তো দারুণ হিট! তবে চুল খোলা রাখতে গেলে চুলের স্বাস্থ্যের ওপর বিশেষ নজর দিতে হবে। চুল যদি রুক্ষ, দুমুখো কিংবা একেবারে জৌলুসহীন হয় তা হলে চুল খুলে রাখলে আরও খারাপ হতে পারে চুলের স্বাস্থ্য। সেক্ষেত্রে চটজলদি চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে বাজার থেকে নামী দামী সামগ্রী কিনে ব্যবহার করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উপকার তেমন মেলেনে না।
চুল ভাল রাখতে প্রয়োজন সুষম আহার। ভাল খাবার খেতেও হবে যাতে শরীরের ভিতরে থেকে চুল পুষ্টি পায় আবার চুলের পুষ্টির জোগানোর জন্য ব্যবহার করতে হবে বিশেষ কোনও প্যাক বা মাস্ক। এ ক্ষেত্রে রান্নাঘরের সহজলভ্য উপকরণ দিয়ে চুলের এই প্যাক বানিয়ে নিন। দেখবেন চুল ঘন হবে এবং দ্রুত বাড়বে। চুলের স্বাস্থ্য ভাল করতে এ রকমই কয়েকটি উপকরণের কথা জানিয়েছেন নিউট্রশনিস্ট পুজা মাখিজা। সেগুলি কী কী দেখে নিন-
আমলকি
আমলকিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি রয়েছে। এই ভিটামিন সি ত্বকের গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন কোলাজেন বৃদ্ধি করে। এর ফলে চুলে পুষ্টি পায় এবং ঘণ ও মজবুত হয়। প্রায় ৬ ইঞ্চি করে প্রত্যেক বছর আমাদের চুল বাড়ে। তবে এটা নির্ভর করে বয়স, জিন ও খাদ্যাভাসের ওপর। বয়স ও জিন আমাদের হাতে নেই ঠিকই। তবে খাদ্যভাস যাতে ভাল হয় সেদিকে নজর রাখা যেতেই পারে।
ফ্ল্যাক্স সিডস বা তিসির বিজ
দু’টেবিলচামচ ফ্ল্যাক্স সিড মানে প্রায় ৬হাজার ৪শো মিলিগ্রাম ওমেগা থ্রি। এই ওমেগা থ্রি চুল পাতলা হওয়া মত সমস্যার সমাধান ভীষণ কার্যকরী।
কারিপাতা
কারিপাতায় বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন ই আছে। আর এই দুই উপাদান-ই চুলের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে এবং চুলের চাকচিক্ক বাড়িয়ে তোলে।
এই তিনটি উপকরণ আপনার নিত্যদিনের খাবারে রাখতে পারেন এবং এগুলি দিয়ে প্যাক বানিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। চুল হবে নজরকাড়া।