সোয়েটারের হাতার ভিতরে যে হাত লুকোবেন এখনও তেমন ভাবে জাঁকিয়ে শীত পড়েনি। তবে রোজই অল্প অল্প করে নামছে তাপমাত্রার পারদ। আর পারদ যত নামছে ততই শুষ্ক হচ্ছে আবহাওয়া। পারদ নামতেই হাতের চামড়া ওঠা শুরু হয়েছে। আবার কারও একেবারে খসেখসে হয়ে যাচ্ছে হাতের চেটো ও তেলো। এই অবস্থায় মুখের ত্বকের মতই ধাপে ধাপে হাতের যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন। শীত পুরোপুরি আসার আগেই হাতের যত্ন নিলে প্রচণ্ড শীতের রুক্ষ হাওয়াতেও অসুবিধে হবে না। তাই এই প্রি উইন্টারে হ্যান্ড কেয়ার রিজিমে কী কী রাখবেন জেনে নিন-
ক্লেনজিং (Cleansing)
বাড়ির বাইরে কিংবা বাড়িতে দিনে অন্তত ৪ থেকে ৫ বার সাবান বা লিকুইড সোপ দিয়ে হাত ধুতেই হয়। শীতকালে এর ফলে বেশ শুষ্ক হয়ে যায় হাতের চামড়া। তাই হাত ধোওয়ার সময় ব্যবহার করুন মাইল্ড বা হাইড্রেটিং অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল হ্যান্ডওয়াশ। এর ফলে যেমন হাত পরিষ্কার থাকবে তেমন আবার বজায় থাকবে হাতের ত্বকের আর্দ্রতা।
এক্সফোলিয়েশন (Exfoliation)
আমাদের হাতের তেলো ও পায়ের গোড়ালির চামড়া সব থেকে মোটা হয়। তাই হাত পরিষ্কার ও সুন্দর রাখতে এক্সফোলিয়েট করা খুব জরুরি। সপ্তাহে অন্তত দু’বার মাইল্ড স্ক্রাবার দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন। এর ফলে হাতের তেলোর মৃত কোষ পরিষ্কার হবে ও হাতে ধুলো ময়লা জমে থাকবে না।
আরও পড়ুন: রোদে পুড়ে কালো হয়েছে হাত? চালের গুঁড়ো দিয়ে ফেরান ত্বকের জেল্লা
সানস্ক্রিন (Sunscreen )
অনেকেই মুখে সানস্ক্রিন লাগান কিন্তু শরীরের অন্যান্য অংশে ঠিক মত সানস্ত্রিন ব্যবহার একেবারে ভুলে যান। আর হাত সানস্ক্রিন লাগানোর কথা তো মনেই থাকে না। মুখে লাগানোর সময় যেটুকু হাতে লাগে তা হাত ধোওয়ার ফলে উঠে যায়। তাই মুখে যেমন মাঝে মধ্যেই সানস্ত্রিন লাগানোর প্রয়োজন ঠিক তেমনই থেকে থেকে হাতের চেটো ও তেলোতে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিতে হবে। না হলে রোদে পুড়ে ত্বকের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে।
ময়শ্চারাইজেশন (Moisturisation)
এখন স্যানিটাইজার ব্যবহারে অভস্ত হয়ে গেছেন অনেকেই। এদিকে অ্যালকোহল থাকার ফলে স্যানিটাইজার লাগালে হাত বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। তাই স্যানিটাইজার লাগানোর পড়েই নিয়ম করে ময়শ্চারাইজার লাগাতে হবে। হাত ধোওয়ার পরও মনে করে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে। এর জন্য সব সময় সঙ্গে একটা হ্যান্ড ক্রিম কিংবা বডি লোশন সঙ্গে রাখতে পারলে ভাল হয়।