শুধু যে তৈলাক্ত ত্বকেই ব্রণ হয় তা কিন্তু নয়। ব্রণ অনেক কারণেই হতে পারে। কোনও বিশেষ শারীরিক সমস্যার ফলে ত্বকে ইনফ্লেমেশনের সমস্যা হলে ব্রণ বা ফুসকুড়ির সৃষ্টি হয়। যদিও বয়ঃসন্ধিতে এই ধরনের সমস্যা বেশি হয়ে তবে অ্যাডাল্ট অ্যাকন সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। বিশেষ করে হর্মোনাল ইমব্যালেন্স বা ত্বকের সঠিক পরিচর্যার অভাবে এই অ্যাডাল্ট অ্যাকনে সৃষ্টি হয়।
ডার্মোটোলজিস্টরা জানিয়েছেন ত্বকের মৃত কোষ রোমকূপের মুখে জমে এই ব্রণর সমস্যার সৃষ্টি হয়। আর এর ফলে পরবর্তী পর্যায়ে মুখে দাগছোপ সৃষ্টি হয়। তাই ব্রণ হলেই এর থেকে রেহাই পেতে এক প্রকার মরিয়া হয়ে ওঠেন সবাই। আর তখনি বিজ্ঞাপন দেখে যে কোনও সামগ্রী ব্যবহার করতে শুরু করেন। তার প্রতিক্রিয়ার কথা না ভেবেই। এদিকে খাদ্যাভ্যাস, স্ট্রেস, হর্মোনাল চেঞ্জ কিংবা জিনগত, ঠিক কোন কারণে এই ব্রণর সমস্যা হচ্ছে তা অনেকেই খতিয়ে দেখেন না। তাই ব্রণ সমস্যার মোকাবিলা করতে এই তিনটি কাজ করা খুবই জরুরী। যেমন-
ধৈর্য্য রাখতে হবে
ব্রণ রাতারাতি সেরে যাবে না প্রথমে এই বিষয়টা বুঝতে হবে। তাই ধৈর্য্য ধরে কাজ করতে হবে। কোনও একটি প্রোডাক্ট তিন দিন ব্যবহার করেই ফল হচ্ছে না দেখে আবার নতুন কিছু ব্যবহার করলে চলবে না। হতেই পারে যে প্রোডাক্ট অন্য কারও জন্য কার্যকরী তা আপনার ত্বকে কাজ নাই বা হতে পারে। তাই অধৈর্য্য হলে চলবে না। ব্রণ সমস্যায় কম হচ্ছে কিনা তা দেখতে অন্তত পক্ষে মাসখানেক অপেক্ষা করতে হবে।
সঠিক সামগ্রী বাছতে হবে
শুধু ব্রণ সারিয়ে তোলার সামগ্রী নয় বরং আপনার নিত্যদিনের প্রসাধনীর ক্ষেত্রে প্রয়োজনে কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে নন কমিডোজেনিক সামগ্রী বেছে নিন। যাতে আপনার রোমকূপের মুখ বন্ধ না হয়ে যায়। এতে ব্রণর সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।
খাদ্যাভ্যাসে বদল প্রয়োজন
সুষম আহার খেতে হবে। এটা সঠিক পুষ্টি পেতে শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে এ রকম অনেক খাবার আছে যা খেলে ত্বকের সমস্যা আরও বেশি বাড়তে পারে। বিশেষ করে ব্রণ থাকলে চিনি, ফ্যাট এবং দুধের তৈরি খাবার জিনিসে খেলে দেখা গেছে অনেক ক্ষেত্রেই তা আরও বেড়েছে। তাই যে সব খাবারে বেশি করে ভিটামিন এ ও ভিটামিন ই আছে সেগুলি খান। তবে এটাও ঠিক চিনি, ফ্যাট এবং দুধের তৈরি খাবার খেয়ে একজনের সমস্যা হচ্ছে বলে বাকিদের হবে তা কিন্তু নয়।
পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। প্রয়োজন শারীরিক কসরত বা যোগা করতে পারেন। তবে এই সব পরিবর্তের পরেও যদি ব্রণর সমস্যা না কমে তাহলে অবিলম্বে ডার্মেটোলজিস্টের পরামর্শ নিন। তৈলাক্ত ত্বক ছাড়াও কোনও বিশেষ শারীরিক সমস্যার কারণে ব্রণ হচ্ছে কিনা তা জেনে নেওয়া দরকার।
ছবি সৌজন্য: Pixabay