কলকাতা: সামনেই দুর্গাপুজো (Durga Puja)। আর বহু মানুষ পুজোয় কলকাতার ভিড় ও যানজট এড়াতে চায়। তাই, বেড়াতে যাওয়া নিয়ে ভ্রমণপিপাসু বাঙালির মধ্যে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। মহানগরের পুজো দেখে তাঁদের একটা বড় অংশ যাবে দার্জিলিং, ডুয়ার্স, দিঘা বা সুন্দরবনে বেড়াতে। ঠিক বিপরীত দিকে, বাংলার মানুষ বেড়াতে যেতে চাইছেন ভূ-স্বর্গে। তবে, কাশ্মীর (Kashmir) বেড়াতে গেলে কিছু বিষয় জেনে রাখা দরকার। সেগুলি কী কী দেখে নিন-
১) প্রথমবার কাশ্মীর গেলে লিস্টে রাখতেই হবে পাটনিটপ, পহেলগাঁও, গুলমার্গ, সোনমার্গ, বেতাব ভ্যালি। বর্তমানে উপত্যকার মধ্যে লুকিয়ে থাকা অফবিট জায়গাগুলিতেও ভিড় করছেন পর্যটকেরা। যেমন-আরু ভ্যালি, ইয়ুসমার্গ, গুরেজ ভ্যালি, লোলাব ভ্যালির মতো জায়গাগুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এমন বেশ কিছু জায়গা রয়েছে, যা ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে অবস্থিত। কিন্তু সেখানকার সৌন্দর্য মন কেড়ে নেওয়ার মতো। ভ্রমণের তালিকাতে এ সমস্ত জায়গাও রাখতে পারেন।
১) প্রতিটা ঋতুতে নিজের মতো করে সেজে ওঠে উপত্যকা। গরমে যেন কেউ সবুজ গালিচা বিছিয়ে রাখে কাশ্মীরের মাটিতে। আবার শীতকালে বরফের চাদরে মুড়ে যায় কাশ্মীর। তাই আপনি কোন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেতে চান, সেই বুঝে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করুন। অক্টোবর মাসে কাশ্মীরে আবহাওয়া ২০ থেকে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই ঘোরাফেরা করে।
৩) অবশ্যই পরিচয়পত্র সঙ্গে নেবেন। যদি ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে অবস্থিত কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখতে চান, সেক্ষেত্রে আলাদা করে পারমিট করাতে হয়। সেখানে আপনার পরিচয়পত্র এবং অন্যান্য নথি দরকার। সেগুলো সঙ্গে রাখুন।
৪) কাশ্মীর গেলে আর ডাল লেকে সময় কাটালেন না, এই ভুল করবেন না। ডাল লেকে শিকারা ভ্রমণের সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও রাত কাটাতে পারেন হাউসবোটে। হোটেলের তুলনায় একটু খরচসাপেক্ষ হাউসবোট। কিন্তু এখানে আপনি কাশ্মীর ভ্রমণের সেরা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবেন।
৫) অক্টোবরে কাশ্মীর যাওয়ার পরিকল্পনা করলে, সঙ্গে শীতের পোশাক নিতে ভুলবেন না। রোদে ঠান্ডা না লাগলেও, রাতে জাঁকিয়ে শীত পড়ে কাশ্মীরে। শীতবস্ত্রের পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনের জিনিস সঙ্গে রাখতে হবে। জ্বর, পেট খারাপ, ব্যথার ওষুধপত্র সঙ্গে রাখুন। অনেক সময় হাতের কাছে ডাক্তার বা ওষুধের দোকান নাও পেতে পারেন।
৬) কাশ্মীর ঘুরতে গেলে সেখানকার স্থানীয় খাবার খেতে ভুলবেন না কিন্তু। ওয়াজবন কাশ্মীরের ঐতিহ্যবাহী খাবার। এটি মাল্টি-কোর্স মিল। এখানে রোগান জোশ থেকে শুরু করে জাফরন রাইস সব পাবেন। এছাড়া খেয়ে দেখতে পারেন ইকাখনি আর কাওয়া।
৭) কাশ্মীরে হাতে তৈরি শাল ও ঘর সাজানোর জিনিসপত্র পাওয়া যায়। শপিং করার ইচ্ছা থাকলে ঘুরে দেখতে পারেন। এছাড়া এখানে আমন্ড, কাজু, আখরোট পাওয়া যায়। বাড়ির জন্য কিনে আনতে পারেন।