ত্বকের ন্যাচারাল গ্লো থাকলে মেকআপ আরও ভাল ফুটে ওঠে। আর এই ন্যাচারাল গ্লো বাড়াতে ত্বকের পরিচর্যার যেমন প্রয়োজন রয়েছে ঠিক তেমনি ত্বক সুন্দর ও জৌলুসপূর্ণ রাখতে পুষ্টিকর খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আর এর উল্টোটা হলে ফলও হবে উল্টো। পুষ্টির অভাব ফুটে উঠবে মুখেও। আর ত্বক ভাল থাকলে মেকআপ আরও ভাল ফুটে উঠবে। তাই প্রোসেস্ড ফুডের দিকে হাত না বাড়িয়ে প্রোটিন,ভিটামিন, ফাইবারযুক্ত খাবার খেতে হবে। তাই এবার বাজারে বা দোকানে গেলে এই খাবারগুলো কিনতে ভুলবেন না। এই খাবারগুলো কী কী দেখে নিন-
চিয়া সিডস
নামটার সঙ্গে এতদিনে হয়ত আপনার পরিচয় হয়ে গেছে। রূপচর্চার বিভিন্ন সামগ্রীতে উপাদান হিসেবে এই চিয়া সিডসের ব্যবহার দেখবেন। চিয়া সিডসে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্টস রয়েছে। এই উপাদানগুলি শুধু ত্বক উজ্জ্বলই করে না বরং ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে। মিনারেল ও ভিটামিনে ভরপুর এই চিয়া সিডস ত্বকের প্রয়োজনীয় প্রোটিন তৈরি করতে সাহায্য করে।
বেরি
স্ট্রবেরি বা ব্লুবেরি ত্বকের জৌলুস বাড়িয়ে দেয়। শরীরের বর্জ্য পদার্থ দূর করে দেয়। পাশাপাশি বেরির অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি কার্যকারিতা রয়েছে। এবং ভিটামিনে ভরপুর এই বেরি মুখের বলি রেখা বা কুচকানো চামড়া কমিয়ে দেবে।
আমন্ড
আমন্ডে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ আছে যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির হাত থেকে বাঁচায়।ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে।এতে যে ফ্যাটি অ্যাসিড বা ভিটামিন আছে তা ত্বককে দাগছোপ মুক্ত রাখে।
মাছ
মাছ আমাদের ত্বকের পক্ষে খুবই উপকারী। এতে ওমেগা থ্রি ও ফ্যাটি অ্যাসিড যা শরীর ও ত্বক ভাল লাগে। এবং ত্বক উজ্জ্বল রাখে।বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ খেলে খুব ভাল ফল দেয়।
শাকপাতা
বাকি সব খাবারের তুলনায় এই শাকপাতা অত্যন্ত উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। এগুলি ত্বকের জৌলুস বাড়িয়ে দেয়। পালংশাক, ব্রোকোলি, লেটিউস, সেলেরির মতো খাবার আপনার ত্বক দারুণ সুন্দর করে তুলতে পারে।
আর মশলার মধ্যে, হলুদ শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী আর সঙ্গে দরকার প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া ভাল। জল খেলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে এবং বর্জ্য পদার্থ সহজে শরীরে থেকে বার করা যাবে।