কলকাতা: সনাতন ধর্মে স্বস্তিক চিহ্নকে (Swastik Symbol) শুভ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, নেতিবাচক শক্তিকে দূর করে ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধির পথ খুলে দেয় স্বস্তিক। এ কারণেই কোনও শুভ কাজের আগে বা পুজোর সময় বাড়ির প্রধান দরজায় একটি স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে দেওয়া হয়। স্বস্তিক প্রতীকে সমান্তরাল আকারে ৪টি দিক থাকে। এই চারটি দিক প্রকৃতির চারটি উপাদানের প্রতীক। স্বস্তিক শব্দটি ৩টি অক্ষর দিয়ে গঠিত। এর মধ্যে রয়েছে সু, অস্তি এবং ক অক্ষর। যে বাড়িতে পুজোয় সময় স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা হয়, সেই বাড়িতে সুখ, সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির কখনও অভাব ঘটে না। এ কারণে যেকোনও কাজ শুরু করার আগে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা হয়।
১) বাস্তুশাস্ত্র অনুসারেও স্বস্তিক চিহ্নের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ঘরের যেখানে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা হয়, সেখানে সুখ ও শুভ শক্তি বিরাজ করে। সেই কারণে স্বস্তিক চিহ্ন থাকলে সেই বাড়িতে সম্পদ বৃদ্ধি ঘটে।
২) বাড়ির মূল প্রবেশপথে স্বস্তিক আঁকা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। মনে করা যে বাড়ির দরজায় স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা থাকে, সেই বাড়িতে প্রবেশ করেন দেব দেবীরা।
৩) যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানের আগে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা অবশ্যই জরুরি। বাড়িতে স্বস্তিক চিহ্ন থাকলে তা গুরু পুষ্য যোগ সৃষ্টি করে। এই যোগ বাডির সদস্যদের উপর শুভ প্রভাব বিস্তার করে।
৪) যদি রাতে ঘুম না আসে, তাহলে শুয়ে যাওয়ার আগে নিজের ডান হাতের তর্জনী দিয়ে বালিশের উপর একয়ি কাল্পনিক স্বস্তিক আঁকুন। এর ফলে অনিদ্রা দূর হবে এবং ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্ন আসবে না বলে মনে করা হয়।
৫) আলমারি, লকার বা সিন্দুকে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এর ফলে সেই সংসারে আর্থিক কষ্ট দূর হয়।
৬) দাম্পত্য জীবনে সমস্যা ও অশান্তি থাকলে হলুদ দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে তার পুজো করুন। এর ফলে সব সমস্যা মিটে যাবে।
৭) আপনার বাড়িকে অশুভ দৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে বাড়ির বাইরে গোবর দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকুন। এর ফলে প্রয়াত পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ থাকবে আপনার উপর।