ডার্ক সার্কেল নিয়ে এমন কোনও ঘরোয়া টোটকা নেই যা অন্তত একবার হলেও আপনি কাজে লাগাননি। তবে এত খাটাখাটনি করলেও আখেরে কোনও লাভ হয়নি। হতাশ হয়ে অগত্যা ডার্ক সার্কেল নিয়েই চলছে জীবন। যদিও বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এই ডার্ক সার্কেল আসলে আধুনিক জীবনযাপনের একটি সাইড এফেক্ট। তাই ডার্ক সার্কেল থেকে মুক্তি পেতে দৈনন্দিন জীবনযাপনে বেশ কিছু ভুল অভ্যেস অবিলম্বে বদলানো উচিত। যেমন-
শরীরচর্চা
ব্যস্ততার অজুহাতে শরীরচর্চা এড়িয়ে যান অনেকেই। কিন্তু ত্বক সুন্দর রাখতে ও স্বাস্থ্য ভাল রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা একান্ত প্রয়োজনীয়। শরীরচর্চার কারণে ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ে। এর প্রভাব পড়ে চোখের ওপরও। চোখের আসেপাসের অংশে রক্ত চলাচল ভাল হলে ডার্ক সার্কেল কমে যায়।
ধুমপান ও মদ্যপান
ধুমপানের কারণে যে চোখের কোলে কালি জমে তা হয়ত অনেকেই জানেন না। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মাত্রাতিরিক্ত ধুমপানের ফলে ত্বক নিজস্ব আর্দ্রতা হারায়। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয়। ধুমপানের মতো মদ্যপানও শরীর ডিহাইড্রেট করে। প্রভাবিত হয় ত্বকের স্বাস্থ্য বেড়ে যায় ডার্ক সার্কেলের সমস্যা।
আরও পড়ুন: দামি প্রোডাক্টের পিছনে না দৌড়ে খুশকির সমস্যায় কাজে লাগান এই সব ঘরোয়া টোটকা
নুন খাওয়া
আপনি কি খাবারে বেশি নুন খান? তা হলে এখনই সতর্ক হোন। শরীর সুস্থ রাখতে দ্রুত বদলে ফেলুন এই অভ্যেস। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সোডিয়াম শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। কারণ এটা শরীরকে ডিহাইড্রেট করে দেয়। মাত্রাতিরিক্ত সোডিয়াম ডার্ক সার্কেলের অনেকগুলি কারণের একটি।
স্লিপিং সাইকেল
চোখে কালির অন্যতম কারণ কম ঘুম। চোখের কালি মুছতে তাই রোজ অন্তত ৮ ঘন্টা ঘুমোন।
হাইড্রেশন
শরীরে জলের ঘাটতি হলে চোখে ফোলাভাব ও চোখের আসেপাসে কালি জমার মতো একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই শরীরে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল থাকে সেটা মাথায় রাখতে হবে। দিন ভর পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে।
ময়শ্চারাইজারের অভাব
ত্বকের আর্দ্রতা কম হলে চোখের আসেপাসের অংশ কালি পড়ে। তাই ত্বকে যাতে আর্দ্রতার অভাব না ঘটে তাই দিনে অন্তত দু’বার মুখ ধুয়ে ভাল করে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। একইসঙ্গে হাইড্রেটিং ক্রিম ব্যবহার করলে ভাল ফল পাবেন।