বাড়িতে পরিষ্কার বাথরুম ভাল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্ত অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে বাড়ির অন্যান্য জায়গায় যেভাবে আমরা সাজিয়ে রাখি, বাথরুমের ক্ষেত্রে কিন্তু আমরা অনেকেই তেমন সজাগ নই। এর ফলে বাথরুমে ব্যাক্টেরিয়া ও অন্যান্য জীবাণুর সৃষ্টি হয়। বাথরুমে দুর্গন্ধ ছড়ায় ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। দেখা দিতে পারে গুরুতর শারীরিক সমস্যা। জেনে নিন অপরিষ্কার শৌচাগার আমাদের শরীরের পক্ষে ঠিক কতটা ক্ষতিকারক।
১.সাধারণত ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে জায়গায় ব্যাক্টেরিয়ার বংশবৃদ্ধির জন্য একেবারে আদর্শ। তাই বাথরুম ভাল ভাবে পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত আবশ্যক। সেটা হলে ব্যাক্টেরিয়ার হাত থেকে রেহাই মেলে।
২.বাড়িতে ছোট বাচ্চা থাকলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই বাথরুম বারবার অপরিষ্কার থাকবে। সেই দিকে নজর দিতে হবে।
৩.অনেক সময় বাথরুমে আলোবাতাসের অভাবে দেওয়ালে ছাতা পড়ে। সেক্ষেত্রে নিয়মিত পরিষ্কার করলে এর হাত থেকেও মুক্তি পাবেন। পরিষ্কারের পরেও যদি সমস্যার সমাধান না হয়, তা হলে বুঝতে হবে আপনার বাথরুমে সঠিক ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা নেই। প্রয়োজনে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।
৪.অনেক সময় নোংরা বা অপরিষ্কার শৌচাগারের কারণে বাড়িতে রোগ ছড়ায়। বিশেষ করে ভাইরাসের ক্ষেত্রে এটা খুবই প্রযোজ্য। অসুস্থ ব্যক্তি বাথরুমের দরজার হাতলে হাত দিলে বা টয়লেট সিট থেকেও জীবাণু ছড়াতে পারে। তাই এই দিকগুলো মেনে চলুন এবং নিয়মিত বাথরুম ও ব্যবহৃত সরঞ্জাম পরিষ্কার রাখুন।
৫. অপরিষ্কার বাথরুম শাওয়ারে ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাক বাসা বাঁধে। এর ফলে চোখ, কান ও ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণের সৃষ্টি হতে পারে।
৬. অনেক সময় ওপর-ওপর পরিষ্কার করলেও বাথরুমের ড্রেনে চুল জমে জল আটকে যায়। তাই প্রত্যেক এক দিন অন্তর বাথরুমের ড্রেন পরিষ্কার করুন। ড্রেনের মুখে চুল আটকাতে দেবেন না। দিনের দিন পরিষ্কার করাই ভাল। না হলে বেশি নোংরা হয়ে গেলে দেখবেন আর পরিষ্কার করতে ইচ্ছে করবে না।
৭. বাথরুম দীর্ঘদিন অপরিষ্কার থাকলে এতে ছাতা ও ছত্রাকের সৃষ্টি হয় এর ফলে বাড়ির সকলের শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি, পেটের সমস্যাও হতে পারে।