বৃষ্টি ভিজতে ভালবাসেন অনেকেই কিন্তু বর্ষাকালে বৃষ্টির জল থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখাই হল বুদ্ধিমানের কাজ। এমনিতেই আবহাওয়া বদলের প্রভাব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে একথা কোভিডকালে প্রায় সকলেরই জানা হয়ে গেছে। তবে বর্ষাকালে শুধু আবহাওয়ার তারতম্যই নয় সক্রিয় হয়ে ওঠে একাধিক রোগের জীবাণু। এই সময় তাই শরীরের বাড়তি যত্ন নেওয়া অত্যন্ত আবশ্যক আর তেমনি প্রয়োজন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। বর্ষার মরসুমে নিজেকে ও পরিবারের সকলকে সুস্থ রাখতে এই বিষয়গুলো মেনে চলুন। যেমন-
বৃষ্টির জলে ভিজবেন না
রাস্তাঘাটে জমা জল, কাদার হয়রানি ছাপিয়ে বর্ষাকাল রোম্যানটিসিজম উপভোগ করতে বৃষ্টিতে ভিজতে ভালবাসেন অনেকেই। তবে সাবধান! এই জলে বেশি ভিজলেই ভাইরাল জ্বর ও সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রবল।
ইষদুষ্ণ জলে স্নান করুন
বৃষ্টিতে ভিজে গেলে বাড়ি ফিরে অবশ্যই স্নান করুন। তবে ঠাণ্ডা জলে স্নান না করে ইষদুষ্ণ জলে স্নান করুন। এতে সংক্রমণের সম্ভাবনাও কমে যাবে শরীরও চনমনে থাকবে।
খাবার নিয়ে সচেতন থাকুন
বর্ষাকালের বিকেলগুলোতে ধুমায়িত প্রিয় পানিয়র সঙ্গে গরম গরম তেলে ভাজা না হলে যেন গোটা দিনের ছন্দপতন ঘটে যায়। তবে এই সময় বাইরে থেকে খাবার না আনিয়ে বরং বাড়িতে তৈরি করে নেওয়া ভাল। জাঙ্ক ফু়ড যথাসম্ভব এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। শরীর সুস্থ রাখতে এই সময়ে বেশি বাড়ির খাবার খান। নিয়মিত ফল, জুস ও সবজি খান।
নিজেকে হাইড্রেট রাখুন
শরীর সুস্থ ও চনমনে রাখতে সব সময়ই নিজেকে হাইড্রেট রাখা দরকার। তবে বর্ষাকালে এ ব্যপারে বিশেষ নজর দেওয়ার প্রয়োজন। তাই প্রচুর পরিমাণে জল খান।
জামাকাপড় বাছুন বুঝেশুনে
বর্ষাকালে ব্যক্টেরিয়াল ও ফাঙ্গাল ইনফেকশনের সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েকগুন। তাই ত্বকের যত্ন নিতে এ সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি জামাকাপড় বুঝশুনে পরতে হবে। সুতির জামাকাপড় এই আবহাওয়ার জন্য খুবই উপকারী। এর ফলে ত্বকের নিশ্বাস নিতে সুবিধে হবে।
পশুদের থেকে দূরে থাকাই ভাল
পশুদের থেকে এই মরসুমে দূরে থাকা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। কারণ জন্তু জানোয়ারদের লোমে এই সময় ফাংগাস ও ব্যাক্টেরিয়া হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই এদের সংস্পর্শে এলে বারে বারে হাত ধুয়ে নিন। যাতে কোনও ভাবেই আপনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত না হন।
পরিষ্কার পরিছন্নতার দিকে খেয়াল রাখুন
বর্ষাকালে পার্সোনাল হাইজিন ও ঘর বাড়ি পরিষ্কার পরিছন্নতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে পা পরিষ্কার রাখার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। পরিষ্কার রাখতে হবে বাড়ি ও বাড়ির আসেপাসের জায়গা।