ত্বক তৈলাক্ত বা শুষ্ক হলে সঠিক পরিচর্যা করা অনেকটা সহজ হয়। সমস্যা হয় যাদের ত্বকের ধরণ মিশ্র। মিশ্র ত্বক মানেই মুখের কিছু অংশ তৈলাক্ত আবার কিছু অংশ শুষ্ক। তাই ত্বকের বাড়তি তেলাক্ত ভাব সামাল দেওয়া যেমন জরুরী ঠিক তেমনটাই প্রয়োজনীয় ত্বকের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা বজায় রাখা। মিশ্র ত্বকে সাধারণত গাল, মুখের চারপাশ, চোখের নীচের ত্বক শুষ্ক হয়। তবে তৈলাক্ত হয় টি জোন(T Zone)। তাই এই ত্বকের যত্ন নিতে একটু বেগ তো পেতেই হবে। তবে গ্রীষ্মকালের কিংবা বর্ষাকালের তুলনায় শীতকালে এই ত্বকের যত্ন নেওয়া তুলনামূলক সহজ। তবে মিশ্র ত্বকের ক্ষেত্রে আলাদা করে নজর দিতে হবে দিনের পরিচর্যা ও রাতের পরিচর্যায়।
দিনের বেলায় পরিচর্যা
১. মুখ পরিষ্কার- অ্যান্টি অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ ফোম বেস্ড ক্লেনজার ব্যবহার করুন। এতে ত্বক ধুলো ও তেল মুক্ত থাকবে।
২. টোন করুন- ত্বকের আর্দ্রতা ও পিএইচ লেভেল বজায় রাখতে টোনার খুবই উপকারী। অ্যালকোহল মুক্ত টোনার ব্যবহার করুন। উপকার পাবেন।
৩. ময়শ্চারাইজার- ত্বকের ধরণ যাই হোক না কেন ত্বক ভাল রাখতে ময়শ্চারাইজার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মুখ পরিষ্কার করে লাইট ওয়েট ও অয়েল ফ্রি ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। তবে ত্বকের যেই যায়গাগুলো শুষ্ক সেখানে অন্তত দু থেকে তিনবার ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
৪. সানস্ক্রিন- শীতকালের মীঠে রোদের আনন্দ নিন তবে সূর্যের ক্ষতিকারক অতি বেগুনি রশ্মিরে থেকে ত্বককে বাচানো খুবই প্রয়োজনীয়। রোদের তেজ কম থাকলেও সামস্ক্রিন ব্যবহার করুন। তবে শীতকালে জেল বেস্ড বা ওয়াটার বেস্ট সানস্ক্রিনের বদলে প্রচন্ড শীতে ক্রিম বেসড সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।
রাতের পরিচর্যা
১. মিসেলার ওয়াটার- এই ক্লেনজিং ওয়াটার দিয়ে মুখের মেকআপ মুখে ফেলুন।
২. পরিষ্কার করুন- মুখে ফেস ওয়াশ দিয়ে হাল্কা হাতে মালিশ করে নিন। এর ফলে ত্বকের ওপর জমে থাকা মেকআপ ও ধুলো ময়লা সহজেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
৩. সিরাম- ব্রণ, লোমকূপের ছিদ্র বড় হয়ে যাওয়া, গালে দাগ ছোপ সারিয়ে তুলতে সিরাম খুব ভাল কাজ করে। বিএইচএ যুক্ত সিরাম ব্যবহার করলে লাভ পাবেন। বিশেষ করে ত্বকের তৈলাক্ত জায়গাগুলোর জন্য খুবই কার্যকরী।
৪. ময়শ্চারাইজ- সব শেষে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ময়শ্চারাইজার লাগান। এক্ষেত্রে মিশ্র ত্বকের জন্য তৈরি ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।