বছরের প্রধান দুটি উত্সবের এক টানা ছুটির পর এবার কাজে ফেরার পালা। পুজোর মধ্যে নিত্যদিনের খাদ্যাভ্যাসের বেশ কিছু চ্যূতিবিচ্যূতি ঘটেছে, সময় থাকতে সেইগুলো শুধরে না নিলে সুস্থ শরীর অসুস্থ হতে বেশি সময় লাগবে না। এদিকে গোদের ওপর বিষফোড়ার মত রয়েছে আবহাওয়ার পরিবর্তন। নেহাত এই দু’দিন পারদ তেমন তরতরিয়ে নামেনি, তাই হাতে এখনও বেশ কিছুটা সময় রয়েছে। তাই খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে ত্বক ও চুলের পরিচর্যা,শারীরিক কসরত নজর দিতে হবে সব কিছুতেই। কালিপুজোর পরের কয়েক দিন বাতাসে ভেসে থাকা ক্ষতিকারক বাজির রাসায়নিক অবশেষ থেকে বাঁচতে কী করবেন জেনে নিন-
পটকা বা বাজিতে থাকা রাসায়নিক থেকে অ্যাল্যার্জি, অ্যাস্থমা, কাশি কিংবা ফুসফুসের অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি মাথা যন্ত্রনাও হতে পারে। তাই কালিপুজোর পরের কয়েকটা দিন প্রাতভ্রমনে না বেড়োনোই ভাল।
পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য ফুসফুসের কোনও সমস্যা হতে পারে। তাই ইনহেলার হাতের কাছে রাখুন। চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে জরুরী কিছু ওষুধপত্র সঙ্গে রেখে দিন।
আবহাওয়ার ঠান্ডা ভাব থাকলেও শীত এখনও সেভাবে পড়েনি এক্ষেত্রে মোটা সুতির জামা পড়তে পারেন এতে বাতাসে থাকা দূষণকারী পদার্থ থেকে ত্বক রক্ষা পাবে।
তবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে চোখ। তাই বাড়ির বাইরে যেতে হলে প্রতিদিন নিয়ম মেনে চোখ ধুয়ে নিন। চোখে হালকা চুলকানি বা জ্বালা ভাব থাকলে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিন। তবে জোরে দেবেন না। আরও ভাল হয় চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ করে কোনও বিশেষ আইড্রপ যদি সঙ্গে রাখা যায়।
তবে চোখ চুলকালে ভুলেও চোখ ডলবেন না বরং চেষ্টা করুন পরিষ্কার নরম কোনও কাপড় দিয়ে চোখ পরিষ্কার করে নিতে। একটি পাত্রে ঠান্ডা জল নিয়ে সেটাতে মাথা নিচু করে চোখের পাতা ভিজিয়ে নিন। এতে ঝাপটার ফলে চোখের ব্যাথা লাগবে না এবং ঠান্ডা জলে চোখ পরিষ্কার হবে ও চোখে পড়া কোনও ধুলো বা ময়লা পরিষ্কার হবে। কিন্তু এগুলো করার পড়েও চোখের চুলকানো ভাব কম না হলে অবিলম্বে চিকিত্সকের সঙ্গে কথা বলুন।
পরিবেশ দূষণের ফলে চোখ ক্লান্ত হয়ে গেলে অ্যাইপ্যাড হিসেব টি ব্যাগ ব্যবহার করত পারেন। টি ব্যাগ কয়েক মিনিট গরম জলে ডুবিয়ে রাখুন। এবার জল থেকে টি ব্যাগ বার করে নিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে চোখের ওপর অন্তত ১৫ মিনিট রেখে বিশ্রাম করুন। কিংবা গোলাপ জলে প্রচন্ড ঠান্ডা করে তাতে তুলো ভিজিয়ে চোখের ওপর ১৫ মিনিট রেখে দিন। তফাতটা নিজেই বুঝতে পারবেন।