এবার পুজোয় আগের মত প্যান্ডেল হপিং না থাকলেও, ২০-র মত অতিমারির আতঙ্ক নেই। তাই পুজোর কটা দিন বন্ধু বা আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গ টুকটার ঘোরাফেরা হতেই পারে। তাই থাকবে পুজোর পোশাকের সঙ্গে সুন্দর করে নিজেকে সাজিয়ে তোলা। আর সেই সাজে যাতে রোদ বা বৃষ্টি বাঁধ সাধতে না পারে সেটাও মাথায় রাখা দরকার। আর পুজোর সাজে এবার চোখের থেকেও বাড়তি যত্ন নিতে হবে ঠোঁটের। এমনিতে সারাক্ষণ মাস্কের আড়ালে থাকবে ঠিকই, তবে মাস্ক মুক্ত হলে ঠোঁট যেন মলিন না দেখায় খেয়াল রাখতে হবে না হলে পুজোর সেলফি বা গ্রুপিতে আপনি নজর কাড়বেন কীভাবে। তাই ঠোঁটের রং ও লাবণ্য ধরে রাখতে এই কাজ গুলো করতে ভুলবেন না-
স্ক্রাবার দিয়ে ঠোঁট এক্সফোলিয়ে করে নিন
চামড়া ওঠা, শুষ্ক ঠোঁটে লিপস্টিক লাগানোর থেকে না লাগানোই ভাল। না হলে এমন বাজে ভাবে লিপস্টিক ছড়িয়ে যাবে যে মাস্ক খুলতে পারবেন না। তাই স্ক্রাব করার জন্য এমন একটা স্ক্রাবার বাছতে হবে যেটা মাইল্ড আবার হালকা দানাদার যাতে স্ক্রাব করলে ঠোঁটের মৃত কোষ পরিষ্কার হয়ে যায়।
লিপ বাম দিয়ে ভাল করে ময়শ্চারাই করুন
লিপস্টিক লাগানোর আগে ঠোঁটে যাতে আর্দ্রতা থাকে দেখে নেবেন। প্রয়োজনে লিপস্টিক লাগানোর আছে ঠোঁটে লিপ বাম দিয়ে নেবেন। এবং এটা কিছুক্ষণ রেখে তারপর লিপস্টিক লাগাবেন। ক্যারোট সিড অয়েল, কোকো বাটার, শিয়া বাটারের মতো উপকরণ দিয়ে তৈরি লিপ বাম ব্যবহার করুন।
লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁট এঁকে নিন
ঠোঁটের কোনে লিপস্টিক যাতে স্মাজ না হয়ে যায় তার জন্য লিপ লাইনার খুবই জরুরী।পাশাপাশি এই লিপ লাইনারের সাহায্য আপনি সুন্দর করে ঠোঁট ডিফাইন করতে পারেন।
লিপস্টিক লাগান নিয়ম মেনে
ব্রাশের সাহায্যে লিপস্টিক লাগিয়ে নিন। লিপস্টিক সরাসরি মুখে লাগালে তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। ব্রাশ দিয়ে প্রথমে ওপরের ও নীচের ঠোঁটের মাঝখানে লিপস্টিক লাগান। এবার ঠোঁটের কোন থেকে শুরু করে ঠোঁটের মাঝখানে লাগান। এই ভাবে লাগালে রঙ দীর্ঘস্থায়ী হবে। লিপস্টিক লাগানো হয়ে গেলে দুই ঠোঁটের মাঝখানে টিসু পেপার রেখে হালকা চাপ দিন। এতে বাড়তি রঙ উঠে যাবে। মুখে ছড়িয়ে যাবে না।