ইতিহাসের পাতায় মুঘল সম্রাটদের খুবই পছন্দের মিষ্টি বলে উল্লেখ রয়েছে শাহি টুকরার। রমজানের উপোস শেষে এই মিষ্টি খেতে খুবই ভালবাসতেন তাঁরা। সেই থেকেই শুরু৷ মুঘল সাম্রাজ্যের ইতি হলেও অমর হয়ে গেছে এই শাহি টুকরা। যুগের পর যুগ পার করেও শাহি টুকরা রয়েছে নিজের শাহি মেজাজেই। ইফতার, ইদ-উল-ফিতার ও ইদ-আল-আদাহ, যাই হোক না কেন, যত বর্ণময় ব্যঞ্জনের আয়োজনই থাকুক না কেন, মুখ মিষ্টি করতে শাহি টুকরার খোঁজ পড়ে সবার আগে।
তবে করোনা আতঙ্কে বাচ্চাদের বাইরে খাবার দিতে না চাইলে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই মিষ্টি।
উপকরণ
রাবড়ি বানাতে প্রয়োজন
রস বা চিনির শিরা বানাতে প্রয়োজন
গার্নিশ করতে প্রয়োজন
শাহি টুকরা বানানোর বিধি
১. পাউরুটির ধারগুলো বাদ দিয়ে মিক্সিতে পিষে ব্রেড ক্রাম্বস বানিয়ে একটি পাত্রে সরিয়ে রাখুন।
২. দুধ ফুটিয়ে নিন। পারলে নন স্টিক পাত্র ব্যবহার করুন। ফোটানোর সময় মাঝে-মাঝে দুধ নাড়তে থাকুন, যাতে তলা লেগে না যায়।
৩. এরপর কিছুক্ষণ ভাল করে দুধটা নেড়ে নিয়ে, কনডেন্সড মিল্ক ও পাউরুটি গুঁড়ো দুধে ঢেলে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এরপর মাঝারি আঁচে ৮ থেকে ১০ মিনিট ফুটতে দিন।পাশাপাশি, আপনি দুধ ও পাউরুটি নাড়তে থাকুন এবং প্যানের সাইডগুলো চেঁছে নিন।
৪. এরপর এলাচ গুঁড়ো দুধে দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। মেশানো হয়ে গেলে গ্যাস থেকে প্যানটি নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হতে দিন।
পাউরুটি ভাজতে প্রয়োজন
১. পাউরুটি স্লাইসের ধারগুলো বাদ দিয়ে দিন। এ বার এই দুটো স্লাইসকে ত্রিভুজ আকারে কেটে নিন।
২. অন্য একটি নন স্টিক প্যানে ঘি গরম করে নিন। এ বার পাউরুটির টুকরোগুলি ভাল করে ঘিয়ে ভেজে নিন। টুকরোগুলি হাল্কা সোনালি বাদামি রঙের হলে গ্যাস থেকে নামিয়ে দিন।
চিনির শিরা তৈরি করুন এই ভাবে
চিনি ও জলের একটি বড় পাত্রে ভাল করে মিশিয়ে নিন এবং ১০ থেকে ১২ মিনিট ফুটিয়ে নিন। চামচে অল্প একটু রস নিয়ে বুড়ো আঙুল ও তর্জনীর মধ্যে এক ফোঁটা রাখুন। এ বার আঙুল দুটোকে দূরে সরিয়ে দেখুন সুতোর মতে আকার তৈরি হচ্ছে কি না। যদি হয় তা হলে চিনির শিরা একদম তৈরি। এতে কয়েকটা কেশর দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
পরিবেশন করুন এই ভাবে
শিরা গরম থাকতে থাকতেই ভাজা পাউরুটির টুকরোগুলি ২-৩ মিনিট রসে চুবিয়ে নিন। এ পিঠ-ওপিঠ পাল্টে রসে চুবিয়ে নিন যাতে রসটা ভালভাবে পাউরুটিতে ঢোকে।
এরপর যে পাত্রে পরিবেশন করবেন সেখানে তুলে রাখুন।
এ বার গরম গরম রাবড়ি পাউরুটির টুকরোগুলির উপরে সমান পরিমাণে ঢেলে দিন। গার্নিশিংয়ের জন্য পিস্তা ও আমন্ডের টুকরোগুলো ছড়িয়ে দিন।
আপনি চাইলে গরম গরম খেতে পারেন৷ তবে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খেলে শাহি টুকরার স্বাদ বেড়ে যাবে দিগুণ।
(ছবি ও রেসিপি সৌজন্য: Tarla Dalal)