সর্দি কাশি তো বটেই, আদার অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি কার্যকারিতা থাকায় অন্যান্য শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রেও আদা বেশ উপকারী। যেমন আর্থারাইটিস, মাথা ব্যাথা, পেটে ব্যাথার কমাতে পারে আদা। একই ভাবে আদার রস খেলে গা গোলানো বা বমি ভাব থাকলে সেটা অনেকটাই কমে যায়। তবে এই সব সমস্যায় আদা কেটে বা রস করে খাওয়ার মতো অবস্থা না থাকলে খুবই কাজে দেবে আদার বরফি। তবে শুধু যে শরীরের সমস্যা থাকলে খেতে হবে তা কিন্তু নয়। বর্ষাকালে কাক ভেজা হয়ে বাড়ি ফিরলে গরম গরম চা বা কফির সঙ্গে কিন্তু এই বরফি দারুণ জমবে!
উপকরণ
আদা- ২৫০ গ্রাম
গুড়- ২৫০ গ্রাম
ঘি- ১২৫ গ্রাম
শুকনো আদা গুঁড়ো-২৫ গ্রাম
কালো মরিচ-২৫ গ্রাম
জিরে-২৫ গ্রাম
এলাচ-২৫গ্রাম
দারুচিনি-২৫ গ্রাম
তেজ পাতা-২৫ গ্রাম
বড় গোলমরিচ- ২৫ গ্রাম
ধনে গুঁড়ো-২৫ গ্রাম
আদার বরফি তৈরির বিধি
একটা ভারী কড়াইয়ে প্রথমে গুড়ের ড্যালাগুলো ঢেলে রস বানিয়ে নিন।
এরপর গুড়ের রসে কুচোনো আদা দিয়ে ৫ থেকে ৭ মিনিট পর্যন্ত মাঝারি আঁচে নাড়তে থাকুন।
এবার ঘি ঢেলে ভাল ভাবে মিশিয়ে নিন এবং এই মিশ্রণটি আরও ৫ থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত গ্যাসে গরম করুন। মাঝে মধ্যে নেড়ে নিন।
এবার সবকটি উপকরণের গুঁড়ো রসে ভাল করে মিশিয়ে দিয়ে প্রায় ৫ থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত হাল্কা আঁচে ফুটিয়ে নিন।
একটি বড় প্লেটে ঘি মাখিয়ে নিন। এবার ১০ মিনিট পর মিশ্রনটি কড়াই থেকে প্লেটে ঢেলে দিন। ভাল করে স্পাচুলা বা খুনতি দিয়ে মিশ্রণটি প্লেটে ছড়িয়ে দিন।
চাইলে আপনি এতে সাদা তিলও ছড়িয়ে দিতে পারেন। এবার এই মিশ্রণটিকে ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হয়ে গেল আপনার পছন্দমতো আকারে কেটে নিন। একই পরিমান উপকরণ ব্যবহার করলে আপনি এই মিশ্রণ থেকে প্রায় ২০টি ছোট বরফির টুকরো বানাতে পারবেন। বরফিগুলো একেবারে ঠান্ডা হয়ে গেলে এয়ার টাইট কৌটে রেখে দিন। অন্তত একমাস এই আদার বরফি আপনি রেখে খেতে পারবেন।