বর্ষার সন্ধে কত আর তেলা ভাজা খাবার খাবেন। সিঙারা, চপ, রোল মুখরোচক তো নিঃসন্দেহে কিন্তু বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঘণ ঘণ খেলে ত্বক ও চুলের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনি আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে এ বছরে বেগ পেতে হচ্ছে শরীরকে। আবহাওয়ার এই তারতম্যে তাই অতিরিক্ত বাইরের খাবার না খেয়ে বরং বাড়িতেই বানিয়ে নিন দারুণ এই গুজরাটি ডিশ, ধোকলা। নতুন কিছু নয় ধোকলার স্বাদ বাঙালির জানা। আর যে পদ্ধতি ধোকলা তৈরি করা হয় তাতে স্বাদের পাশাপাশি শরীরের পক্ষে এটি যথেষ্ট পুষ্টিকর।
কাবলিছোলা, বিউলির ডাল ও চাল দিয়ে তৈরি করা হয় ধোকলা। ব্রেকফাস্ট হিসেবে দারুণ হিট এই খাবার। তবে সন্ধেবেলায় অফিস থেকে ফিরে গরম আর নরম ধোকলার কিন্তু জবাব নেই। আবার তেলেভাজার চেনা স্বাদের একটু বদলও হবে। তা কীভাবে বাড়িতে ধোকলা বানাবেন জেনে নিন-
প্রথমে ১ কাপ বেসন, ১ টেবিল চামচ সিট্রিক অ্যাসিড ১ টেবিল চামচ চিনি, এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো ও অল্প একটু নুন একটি বাটিতে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার এটা ঘণ করার জন্য এতে সামান্য জল মিশিয়ে দিন।
এবার এক টেবিল চামচ বেকিং পাউডার ও সামান্য জল এই ব্যাটারে যোগ করুন।
এবার ধোকলা তৈরির জন্য স্টিমারের নীচের অংশে জল ভরে নিন। এবং ওপরের অংশে সামান্য তেল মাখিয়ে নিন। যাতে ধোকলা স্টিমারের বাটিতে লেগে না থাকে। এবার জল ভর্তি স্টিমার গরম করে নিন। জল সামান্য ফুটতে শুরু করলে ধোকলার ব্যাটার বাটিতে ঢেলে দিন। এবং পনেরো মিনিট পর্যন্ত স্টিমে বসিয়ে রাখুন।
এবার ধোকলার স্বাদ বাড়াতে একটি ছোট প্যানে অল্প তেল গরম করে নিন, এতে আধ টেবিল চামচ সরষে দিন। একটি শুকনো লঙ্কা, যাঁরা শুকনো লঙ্কা খান না তাঁরা কাচা লঙ্কা দিতে পারেন। এবং ৬টা মত কারিপাতা দিয়ে তেলে ফুটিয়ে নিন।
এবার ধোকলা স্টিমার থেকে বার করে চৌকো আকারে কেটে নিন এবং সবকটা টুকরোর ওপর এই কারিপাতা, সরষে ও লঙ্কা গরম করা তেল ওপর থেকে ছড়িয়ে দিন।
আপনার পছন্দের চাটনি কিংবা সসের সঙ্গে খেয়ে নিন। চাইলে চায়ের সঙ্গেও খেতে পারেন। মন্দ লাগবে না।