বাড়ির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা শৌচাগার বা বাথরুম। বাড়ির পরিবেশ স্বাস্থ্যকর রাখতে প্রয়োজন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বাথরুম। সেই জায়গা কীভাবে পরিষ্কার রাখবেন? রইল সহজ কিছু টিপস।
কীভাবে পরিষ্কার রাখবেন?
১. শাওয়ার ও বাথটাব থেকে সব জিনিস সরিয়ে রাখুন। তোয়ালেগুলো পারলে রোদে দিয়ে শুকিয়ে নিন। প্রসাধনের সব সরঞ্জাম ব্যবহারের পর নিজস্থানে রেখে দিন।
২. মাকড়সার জাল জমতে দেবেন না। নিয়মিত পরিষ্কার করুন। খুব ভাল হয়ে যদি বাথরুমে মেঝে ভ্যাকিউম দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলেন।
৩. নিয়মিত শাওয়ার ও বাথটব অ্যাসিড বেসড ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করুন। ছুটিতে গেলে ফিরে এসে অবশ্যই শাওয়ার ও বাথটব পরিষ্কার করে নিন। বেশ কয়েকদিন ব্যবহার না হওয়ার কারণে শাওয়ার ও বাথটবের ধারে ছাতা জমতে পারে। তাই সেগুলি আগে পরিষ্কার করে নিন।
৪. এ ছাড়াও বাথরুমের অন্যান্য জায়গা যেমন তোয়ালে রাখার তাক, অন্যান্য তাক, বাথরুমের জানলা, ভেন্টিলেশনের জায়গাগুলো পরিষ্কার করতে হবে। এক সঙ্গে এত কাজ না করে, প্রত্যেকদিন অল্প অল্প করে করুন। এতে কাজও সহজ হবে বাথরুমও একেবারে তকতকে-চকচকে থাকবে।
৫. বাথরুমের দেওয়াল ও মেঝে পরিষ্কার করতে অল-পারপাজ ক্লিনার একটি বালতিতে জলে মিশিয়ে নিন। দেওয়ালে ও মেঝেতে পরিষ্কার করে নিন। যেখানে যেখানে ময়লা জমে আছে সেই জায়গুলি ঘষে পরিষ্কার করে দিন। জল দিয়ে ধোওয়ার আগে ভাল করে ডিসইনফ্যাক্ট্যান্ট দিয়ে সব জায়গা পরিষ্কার করে নিন।
৬. এ ছাড়া বাথরুমের বেসিন, নল ও দরজার হাতলগুলোও মুছে নিন বা পরিষ্কার করে নিন।
৭. টয়লেটের ভিতর যদি আপনি রোজ পরিষ্কার করতে পারেন খুবই ভাল। তবে তা না-হলে অন্তত সপ্তাহে দুবার পরিষ্কার করুন এতে ময়লা জমাট বাধবে না। ময়লা জমাট বেধে গেলে প্রয়োজনে ক্লিনারের পর ব্রাশ দিয়ে ডলে নিন। টয়লেট বাইরের অংশ অল পারপাজ ক্লিনার স্প্রে করে মুছে নিন।
৮. সব শেষে বাথরুমে মেঝে ভাল করে মুখে নিন। মেঝে শুকিয়ে গেলে ডাস্টবিন ও পাপোশ জায়গামতো রেখে দিন।
৯. বাথরুমে একটি হ্যান্ড হেল্ড ভ্যাকিউম রাখলে চুল ও অন্যান্য ময়লা রোজ পরিষ্কারের কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।
১০. এ ছাড়া বাথরুমের নালির মুখে আপনি হেয়ার ক্যাচার ব্যবহার করতে পারেন। না হলে নালির মুখ বন্ধ হয়ে গিয়ে জল ঠিক ভাবে যেতে না পারলে জল জমবে। আর এই জমা জলের কারণে বিচ্ছিরি দাগ পড়ে যাবে। হেয়ার ক্যাচার এই সব ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী।
১১. এ ছাড়া স্নানের শেষে শাওয়ার ও বাথ টাবের জল ভাল করে মুছে দিন। তা হলে শাওয়ারের ছিদ্রগুলোতে জল জমে ব্যাক্টেরিয়া বা অন্যান্য জীবাণু থাকবে না।
এই পদ্ধতিতে নিয়মিত বাথরুম পরিষ্কার করলে আপনার কাজ অনেকটাই হাল্কা হয়ে যাবে। বাথরুম পরিষ্কার থাকলে দেখবেন আপনার মনমেজাজ ও স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে। বাথরুম পরিষ্কারের পর এই বিষয়গুলির দিকে নজর রাখলে ভাল হবে।