পুজোর এ কদিন ঘোরাফেরা হয়েছে অনেক। তার ওপর পোশাকের সঙ্গে মানানসই নতুন জুতো। পা যে পুরোপুরি হাল ছেড়ে দেয়নি এটাই অনেক। এদিকে পুজো মিটতে না মিটতে ফের বৃষ্টি। কিন্তু দিনের শেষে এই সব কিছুর মধ্যে আমাদের ক্লান্ত পায়ের কথা বেমালুম ভুলে যাই। এই এত অত্যাচার সহ্য করেও পা নিজের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকই কিন্তু হঠাৎ যদি হাল ছেড়ে দেয়! তখন হবে মুশকিল। এদিকে এই পায়ের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূ্র্ণ শিরা-উপশিরা যা শরীরের অন্যান্য অঙ্গ- প্রতঙ্গের সঙ্গে যুক্ত। এমনকি দেখবেন পায়ের হাল্কা মালিশ করা হলে গোটা শরীরের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। তাই করোনাকালে বাড়ি বসেই পায়ের যত্ন নিতে রইল সহজ উপায়। পায়ের স্বাস্থ্যতো ভাল হবেই, দেখবেন সুন্দর ও সতেজ পা আপনার ব্যক্তিত্বকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।
দেখে নিন বাড়িতে পেডিকিউর করতে কীকী প্রয়োজন
পেডিকিউরের পদ্ধতি
নখ পরিষ্কার করে নিন
নখে নেল পোলিশ থাকলে রিমুভার দিয়ে নখ পরিষ্কার করে নিন। এরপর ভাল করে নখ কেটে নিন। মনে রাখবেন খুব বেশি ছোট করে নখ কাটবেন না। নখের ধারগুলো গোল করে কাটবেন না বরং নখ সোজ রাখুন। না হলে নখ চামড়ার ভিতর ঢুকে ব্যাথ্যা হবে।
নখের কেমন শেপ আপনি চাইছেন সেটা ঠিক করে নিয়ে নখ ফাইল করুন। ফাইলের সময় নখে অত্যাধিক জোর দেবেন না। একভাবে ফাইল করবেন। এদিক-ওদিক থেকে ফাইল করলে নখ দুর্বল হয়ে ভঙ্গুর হয়ে যাবে।
পা গরম জলে ডুবিয়ে রাখুন
ইষদুষ্ণ জলে পা ডুবিয়ে রাখার এই সময়টুকু উপভোগ করুন। দেখবেন নিজেকে অনেকটাই স্ট্রেস ফ্রি মনে হবে।
একটি বালতিতে বা টাবে গরম জল নিয়ে তাতে গোড়ালি পর্যন্ত পা ডুবিয়ে দিন। যদি অল্পের মধ্যে ব্যাপারটা মিটিয়ে নিতে চান তাহলে শ্যাম্পু বা বডি ওয়াশ ও রক সল্টের ক্রিস্ট্যাল জলে দিয়ে দিন। যদি হাতে বাড়তি সময় থাকে তাহলে এক কাপ এপসম সল্ট, ২ ফোটা শ্যাম্পু ও একটা গোটা পাতিলেবুর রস ও কয়েক ফোটা এসেনশিয়াল অয়েল গরম জলে মেশাতে পারেন। এতে প্রয়োজনীয় স্পা ট্রিটমেন্ট পাবে আপনার পা।
এই জলে অন্তত ১৫-২০ মিনি পা ডুবিয়ে রাখুন। সঙ্গে হাল্কা মিউজিক হলে আরও ভাল লাগবে। কুড়ি মিনিট পর ভাল করে তোয়ালে দিয়ে পা মুছে নিন।
পা স্ক্রাব করে নিন
প্রথমে পায়ের আঙুলে কিউটিক্যাল ক্রিম লাগিয়ে নিন। পায়ের মৃত কোষগুলি নরম হয়ে গেলে পিউমিক স্টোন দিয়ে পা ঘষে নিন। এতে পায়ের শুষ্ক ও মৃত কোষগুলি পরিষ্কার হয়ে যাবে। এটা কিছু দিন অন্তর অন্তর না করলে পায়ের চামড়া শক্ত হয়ে যায়। এর ফলে পা ফেটে গিয়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে।
পা ঘষা হয়ে গেলে কিউটিক্যাল ক্রিম মুছে ফেলুন। এবং কিউটিক্যাল পুশার দিয়ে কিউটিক্যাল পিছনে ঠেলে দিন। নখের একেবারে নীচের অংশে এই কিউটিক্যাল থাকে।
এরপর একটি স্ক্রাব নিয়ে পা এক্সফোলিয়েট করুন। ফুট বা ফেস স্ক্রাব যে কোনও জিনিস ব্যবহার করতে পারেন। পা, গোড়ালি, পায়ের তলায়, আঙুলের ফাঁকে ভাল করে স্ক্রাব করে পরিষ্কার করে নিন।
পা ময়শ্চরাইজ করুন
আপনার পা একেবারে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে গেছে। এবার প্রয়োজন এই স্বাস্থ্য ধরে রাখতে পায়ের সঠিক যত্ন নেওয়ার। তাই পায়ে ভাল করে ময়শ্চরাইজার লাগিয়ে নিন। ভাল করে মালিশ করুন। এবার আপনার পছন্দের রঙে নখ সাজিয়ে তুলুন।
ছবি সৌজন্য: Unsplash