সামনেই পুজো, আর পুজো মানেই জমিয়ে রান্না বান্না, খাওয়া দাওয়া। মাছে ভাতে থাকা বাঙালির কবজি ডুবিয়ে খাওয়া। অন্তত এই পাঁচটা দিন তেল মশলার বারণ কে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে দ্বিতীয় বার ভাববেন না অনেকেই। আর বাড়ির রান্না যদি হয় তাহলে তো কথাই নেই। স্বাদ আর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। রান্নাঘরের যাবতীয় উপকরণ এমনিতে ঠিকঠাকই থাকে কিন্তু ইদানীং যে হারে খাবার দাবারে ভেজালের সমস্যা বাড়ছে সেক্ষেত্রে আপনার নিত্যদিনে ব্যবহারের মশলাপাতি যে একেবারে শুদ্ধ তা ব্যবহারের আগে একবার যাচাই করে নেওয়াই ভাল। হলুদ, লাল লঙ্কার গুঁড়ো, নুন, তেল ভেজালের সম্ভাবনা থাকে সব থেকে বেশি।
Is your Chilli powder adulterated with brickpowder/sand?#DetectingFoodAdulterants_8#AzadiKaAmritMahotsav@jagograhakjago @mygovindia @MIB_India @AmritMahotsav @MoHFW_INDIA pic.twitter.com/qZyPNQ3NDN
— FSSAI (@fssaiindia) September 29, 2021
আর তাই এই সব খাবারে ভ্যাজাল থাকলে কীভাবে ঘরেই সহজ পরিক্ষা করে তা বুঝবেন অই নিয়ে ফুড সেফটি স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া(FSSAI) টুইটারে বেশ কিছু ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। এবার লাল লঙ্কায় ভেজাল খুঁজতে রইল এই ভিডিও। পুজোর মরশুমে আমিষ খাবার রান্নার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই লাল লঙ্কার গুঁড়ো।তাই আপনার রান্নায় উপকরণের ভেজাল যাতে বাঁধ না সাঁধতে পারে তার জন্য জেনে নিন কী করতে হবে।
একগ্লাস জল নিন। তাতে এক চা চামচ লঙ্কা গুঁড়ো মিশিয়ে দিন
জলের তলায় যেটা জমবে এবার সেই অবশিষ্ট পদার্থ তুলে হাতের তালুতে রাখুন। এবং এটা আঙুল দিয়ে ভাল করে ডলে দেখুন।
এ ভাবে ডলা-র সময় যদি হাতে কাঁকরের মত ফোঁটে তা হলে বুঝতে হবে এতে ইঁটের ছোট কনা মেশানো হয়েছে। আর যদি এই অবশিষ্ট পদার্থ বেশি পিচ্ছিল ও নরম মনে হয় তাহলে বুঝতে হবে সাজিমাটির ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে রেড অক্সাইড ব্যবহার করা হয়।
এই ভ্যাজাল লঙ্কা গুঁড়ো খেলে বলা বাহুল্য পেটের ও হজমের বিভিন্ন রকম সমস্যা হতে পারে। এমনকি এই ভেজাল লঙ্কা গুঁড়ো দীর্ঘদিন খেলে কানসারের মতো বড়সড় অসুখের সম্ভাবনা হতে পারে।