বছরের পর বছর সম্পর্কে থেকে কিংবা একই ছাদের তলায় একসঙ্গে থেকেও অনেকের ক্ষেত্রেই শুধু নামে মাত্র থেকে যায় সম্পর্ক, বাকিটা অন্তসারশূণ্য। ফলে সম্পর্কে থেকেও সারাক্ষণ একটা একাকিত্ব ঘিরে থাকে! এই অবস্থা কি আপনারও? সমস্যার সমাধানের পথ রয়েছে অনেক তবে সব থেকে আগে খুঁজে বার করতে হবে কারণ। একাধিক কারণ থাকতে পারে। যেমন-
চিন্তাধারায় আকাশ পাতাল পার্থক্য
যে কোনও সম্পর্কে মনের মিল থাকা অত্যন্ত আবশ্যক। যদিও কথায় আছে ‘অপোজিট অ্যাট্র্যাক্টস’ তবে আকর্ষণ এক জিনিস আর একসঙ্গে থাকা সুখ-দুখ সব একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া আলাদা বিষয়। তাই সব ব্যপারে যদি মতের পার্থক্য দেখা যায় সে ক্ষেত্রে একে অপরের মধ্যে ক্রমশ দূরত্ব তৈরি হয়। আর এ রকম অবস্থায় সম্পর্কে থেকেও একাকিত্ব গ্রাস করে।
প্রত্যাশার পাহাড়
পার্টনারের কাছে আপনার পাহাড় প্রমাণ প্রত্যাশা! আর সেই সব চাহিদার এক আধটাও যদি অপূর্ণ থেকে যায় তাহলে অনেক সময় সম্পর্কে সমস্যার সৃষ্টি হয়। চাহিদা পূরণ না হওয়ায় অনেকেই এই নিয়ে মন খারাপ করে একাকিত্বে ভোগে।
একে অপরের জন্য সময়ের অভাব
ব্যস্ততা যতই থাকুক একে অপরের প্রতি টান থাকলে হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও সামান্য সময় বার করাই যায়। কিন্তু কোনও সম্পর্কে তেমনটা না হলে খুব স্বাভাবিক যে সম্পর্কে একাকিত্ব জাঁকিয়ে বসবে।
কথা বলা
সম্পর্ক দৃঢ় রাখতে নিয়মিত পরস্পরের মধ্যে কথা বলা, হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও অপরকে সময় দেওয়া ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তাই পার্টনারকে কখনই এড়িয়ে যাবেন না। এরকম করলে আসতে আসতে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস বা ভরসা টলে যায়। সম্পর্কের বাধন আলগা হয়ে যায় আর একাকিত্ব ঘিরে ধরে।
সম্পর্কে কি করবেন আর কি করবেন না
একাকিত্ব অনেক ক্ষেত্রে মানুষের চিন্তা ভাবনার ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। তাই কোনও কারণে একে অপরকে দোষারোপ করবেন না। বরং একাকিত্বে ভুগলে এই নিয়ে পার্টনারের সঙ্গে অবশ্যই মনের কথা বলুন।
নিত্যদিনের কাজ একসঙ্গে করার চেষ্টা করুন
বাড়িতে যেটুকুনই সময় একসঙ্গে কাটান তখন দু’জনে মিলে বাড়ির কাজ করতে পারেন। এক অপরের পছন্দের কাজ করুন। আবার যার যেটা করতে ভাল লাগে সেই কাজগুলো একসঙ্গে মিলে করুন। এতে একাকিত্ব কাটবে এবং নিজেদের মধ্যে বোঝপড়া আরও ভাল হবে।
একাকিত্বে ভুগলে পছন্দের কাজে মনোনিবেশ করুন
কাজের ব্যস্ততায় যদি আপনার পার্টনার আপনাকে সময় দিতে না পারেন তাহলে মন খারাপ না করে নিজের ভাললাগার কাজগুলো করুন। নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। ক্রিয়েটিভ কোনও কাজ করুন।
সোশাল মিডিয়ার ব্যস্ততা থেকে বেরিয়ে আসুন
কাজের বাইরে যেটুকুনই সময় বাড়িতে কাটান তখন আর মোবাইল ফোনে মুখ গুঁজবেন না। বরং ফোন দূরে সরিয়ে রেখে একে অপরের সঙ্গে কথা বলুন, সময় কাটান। তা হলে একাকিত্ব ঘিরে ধরবে না।
(ছবি সৌ: Love Panky)