গরমে আঁটোসাঁটো জামাকাপড়, জিন্সের প্যান্ট, দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা কিংবা অতিরিক্ত ঘামে বাট অ্যাকনে(butt acne) বা নিতম্বে ব্রণ বা র্যাশের সমস্যা দেখা দেয়। এই সব সমস্যা লজ্জার কারণে অনেকেই এড়িয়ে যান। কিন্তু এড়িয়ে গেলেই বিপদ। একে প্রচন্ড গরমে বডি হিট বেড়া যাওয়া ও প্রচণ্ড ঘাম তার ওপর প্রপ্রার হাইজিন বা পরিছন্নতার অভাবে এই বাট অ্যাকনে বেড় বড় আকার ধারণ করতে পারে। তাই বাট অ্যাকনে হলে তা এড়িয়ে না গিয়ে এই বিষয়গুলো অবশ্যই মেন চলুন-
নিতম্বে র্যাশের কারণে জালা বা চুলকুনি হলে ত্বকের ভেজা ভাব ওয়াই করুণ এবং ভেজা ভাবের কী কারণ তা দূরে রাখুন।
একটানা অনেকক্ষণ একই পোজিশনে বসে থাকার কারণেও এই বাট অ্যাকনের সমস্যা হতে পারে। তাই মাঝে মধ্যেই পজিশন চেঞ্জ করুন এবং কাজের ফাঁকে কয়েক মিনিটের ব্রেক নিন।
অনেক সময় অপরিষ্কার আন্ডারগার্মেন্টে ধুলো, ঘাম, তেল জমে থাকে এবং সেগুলে ত্বকের জীবাণু সংক্রমণ বাড়িয়ে তোলে। তাই অন্তর্বাস পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। গরমকালে দিনে অন্তত দু’ বার বদলে নিন।
গরমকালে যথাসম্ভব ঢিলেঢালা জামাকাপড় পড়ুন কারণ গরমে টাইট জামাকাপড়ে ঘাম জমে জীবাণু সংক্রমন দ্রুত হয়। এর ফলে চুলকুনি সহ একাধিক সমস্যা হতে পারে। এছাড়া অ্যালার্জি হতে পারে র্যাশ বা ফোড়া হতে পারে।
বাট অ্যাকনে থেকে রেহাই পেতে ন্যাচারাল অ্যান্টিসেপ্টিক কিংবা অ্যান্টিব্যক্টেরিয়াল কার্যকারিতা যুক্ত অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বকের জ্বালা ও সংক্রমণ কমবে।
শশার রস করে আইস ট্রেতে জমিয়ে নিন। এবার বাট অ্যাকনের জায়গা পরিষ্কার করে শশার রসের আইস কিউবস আলতো হাতে ডলে নিন।
ব্যক্টেরিয়াল ইনফেকশন বেশি বেড়ে গেলে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার ব্যবহার করুন। তবে এটা অ্যাকনেতে লাগালে প্রথমে একটু জ্বালা করবে।
(ছবি সৌ: Unsplash)