বাজার বা ঝাঁ চকচকে শপিং মল। যেখান থেকেই কেনা হোক না কেন, নানা কারণে খুব সহজেই দূষিত হতে পারে ফলমূল-শাকসবজি। করোনা অতিমারির আগে থেকেই খাদ্যবাহিত রোগে প্রতিদিনই বিশ্বজুড়ে অসুস্থ হচ্ছেন কোটি-কোটি মানুষ। শুধু যে বাজারে পৌঁছেই ফলমূল-শাকসবজি দূষিত হয় তা নয়, অনেক ক্ষেত্রেই জমিতে বেড়ে ওঠার সময়ই মাটি, দূষিত জল, জন্তু-জানোয়ার বা উৎপাদনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে ব্যবহৃত বিভিন্ন খাদ্যের রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমেও খাদ্য দূষণ ঘটে। জমি থেকে সবজি বাজারে যাওয়ার সময় দূষণের সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এ ছাড়া, বাড়িতে যেখানে ফলমূল-শাকসবজি পরিষ্কার বা স্টোর করা হচ্ছে, সেখানেও দূষণের সম্ভাবনা থাকছে। এই খাদ্যবাহিত (Food borne Diseases) রোগব্যাধির থেকে দূরে থাকতে মেনে চলুন এই ৭টি বিষয়।
১. শাকসবজি রান্না করার আগে ও পরে ভাল করে হাত ধুয়ে নিন। হাল্কা গরম জল ও সাবান দিয়ে ২০সেকেন্ড পর্যন্ত হাত ধোবেন।
২. কেনার সময় ফল বা শাকসবজির গায়ে দাগ বা ঘষা লেগে যেতেই পারে। সেক্ষেত্রে এগুলি ভাল করে ধুয়ে নিয়ে ওই অংশটা কেটে ফেলে দিন। খোসা ছাড়ানোর আগে ফল ও শাকসবজি অবশ্যই ভাল করে ধুয়ে নিন। এর ফলে এগুলির গায়ে লেগে থাকা ব্যাক্টেরিয়া ও অন্যান্য জীবাণু ফল ও সবজির ভিতরের অংশে প্রবেশ করতে পারবে না।
৩. রানিং ওয়াটারে ফল-শাকসবজি ধুয়ে নিন। ধোয়ার সময় ফল ও সবজি হাল্কা হাতে কচলে নিন, তা হলেই হবে। সাবান জল বা বাজারের এগুলি ধোয়ার জন্য যেসব প্রোডাক্ট পাওয়া যাচ্ছে তা ব্যবহার না করাই ভাল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই প্রোডাক্টগুলির রসায়নিক পদার্থ ফল ও সবজির গায়ে থেকে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।
৪. শশা, তরমুজ বা এই জাতীয় ফল ও সবজিরে ক্ষেত্রে, ভেজিটেবল ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
৫. এরপর পরিষ্কার কাপড় বা পেপার টাওয়েল দিয়ে ভাল করে মুছে শুকিয়ে নিন। ধোয়ার পরও যদি সামান্য কিছু ব্যাক্টেরিয়া থাকে তাও পরিষ্কার হয়ে যাবে।
৬. বাঁধাকপি ও লেটিসের ওপরের পাতাটা ফেলে দিন।
৭. এ ছাড়া স্বল্পআয়ুর ফল ও সবজিগুলিকে ফ্রিজে রাখুন।