ঘড়ির কাটা যেখানেই থাকুক না কেন? কফির কাপে চুমুক না দিলে আপনার সকাল হয় না। ধূমায়িত কাপ থেকে কফির প্রথম ঘ্রাণে উফ শরীর ও মন দুটোই চাঙ্গা। সারা দিনের মতো আপনি ‘রেডি টু ফেস দ্য ওয়ার্ল্ড’। বিশেষ করে এই শীতকালে আপনার কাছে এক কাপ কফি তো নয় যেন এক পেয়ালা অমৃত।
তবে সব কিছুরই যেমন ভাল ও খারাপ দিক রয়েছে তেমন কফিরও আছে। এমনিতেই বিশেষজ্ঞদের মতে আমাদের শরীরে প্রত্যেকটা খাবার নেওয়ার বা হজম করার একটা ক্ষমতা আছে। তাই ভাল জিনিসও মাত্রাতিরিক্ত হলে সমস্যা হয়। কফি খাওয়ার বেশ কিছু ভাল দিক থাকলেও মাত্রাতিরিক্ত কফি খেলে শরীরে ক্যাফেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে সমস্যায় পড়েন অনেকেই। তাই কফি আপনার যত প্রিয় পানীয় হোক না কেন কপে মেপে খাওয়াই ভাল। কফিতে থাকে ক্যাফেন। এই ক্যাফেন চা তেও পাওয়া যায়। তবে চা এর তুলনায় কফিতে ক্যাফেনের মাত্রা থাকে বেশি।
View this post on Instagram
নিউট্রশনিস্টদের মতে কফিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। এগুলি স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে শক্তি জোগায়। দিনে ২৫০ গ্রাম কফি নাকি হার্টের জন্য খুবই ভাল। সাধারাণত দিনে আমরা ৪০০ গ্রাম কফি খেতে পারি। কিন্তু কোনও কারণে কফি খেলে যদি আপনার বুক ধড়ফড় করে বা নার্ভাস লাগে কিংবা বিরক্তি বাড়ে তাহলে বুঝতে হবে আপনি বেশি ক্যাফেন সহ্য করতে পারেন না।
যদি এই সমস্যাগুলি হয় তাহলে আপনি আপনার ক্যাফেন ইনটেক কমিয়ে ২০০ গ্রামে নিয়ে আসুন। যাঁরা গর্ভধারণের বিষয় ভাবনাচিন্তা করছেন তাঁদের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। এছাড়া ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ৪-৬ ঘন্টা আগে কফি না খাওয়াই ভাল।