রেজার ব্যবহার করলে রেজার বার্ন হতে বাধ্য। অনেক সময় রেজার বার্ন আপনা থেকেই ঠিক হয়ে যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে অল্পেতে ঝামেলা মেটে না। তার উপর ধুলোবালি বা জামাকাপড়ের সঙ্গে ঘষা লেগে অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। মুখ ছাড়াও শরীরের অন্যান্য অংশে অনেকেই রেজার ব্যবহার করেন। মুখ ও সেই সব জায়গায় এই সমস্যা হলে কীভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তার নিরাময় করবেন দেখে নিন।
কীভাবে বুঝবেন রেজার বার্ন
রেজার ব্যবহারের পর জায়গাটা লাল হয়ে গেলে
হাল্কা ফুলে গেলে
রেজার ব্যবহারের পর জ্বালা বা চুলকানি হলে
ত্বকের উপর ছোট ছোট গোটা বেরোলে
রেজার বার্ন সারিয়ে তুলতে এই ঘরোয়া টোটকার জবাব নেই
১. রেজার বার্ন সারিয়ে তোলার সবথেকে সহজ উপায় ত্বকের ওই জায়গায় হাত দেবেন না।
২. কোল্ড কমপ্রেস করলেও খুব আরাম পাবেন। পরিষ্কার কাপড় ভাল করে জলে ভিজিয়ে নিঙড়ে নিন। ক্ষত জায়গায় প্রায় কুড়ি মিনিট হাল্কা করে এই কাপড় দিয়ে কমপ্রেস করুন।
৩. ক্ষত জায়গায় অ্যাস্ট্রিনজেন্ট লাগালে আরাম পাবেন। এর জন্য অ্যাপেল সিডার ভিনেগার, ঠান্ডা ব্ল্যাক টি, কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল জলে মিশিয়ে লাগাতে পারেন। আরাম পাবেন জ্বালা ও লালচেভাব কমবে।
৪. ন্যাচারাল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক নরম ও আর্দ্রতা বাড়ানোর এবং অন্যান্য উপসর্গ থেকে রেহাই পাবেন। আপনি অ্যাভোকাডো অয়েল, কোকোনাট অয়েল, অলিভ অয়েল ও সুইট আমন্ড অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এই সময় অ্যাল্কোহল যুক্ত সামগ্রী ব্যবহার করবেন না। এতে উল্টো ফল হবে।
৫. ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা জেলের উপকারিতা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। ক্ষত জায়গায় অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে আরাম পাবেন।
৬. ওটমিলের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি কার্যকারিতা রয়েছে। এর ফলে ক্ষত জায়গায় ওটমিল লাগাতে পারেন। এছাড়া ঈষদুষ্ণ গরম জলে ওটমিল প্রোডাক্ট মিশিয়ে নিন। এই ওটমিল বাথ নিলে অনেকটাই আরাম পাবেন। এটা বিশেষ করে পা ও গোপনাঙ্গের রেজার বার্নের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী।
৭. বেকিং সোডা, এই লবণ জাতীয় পদার্থের ব্যবহার বেকিংয়ের ক্ষেত্রে বেশি হয়। তবে রেজার বার্ন ও রেজার বাম্পের ক্ষেত্রে বেকিং সোডা ব্যবহার করলে আরাম পাবেন। ১ কাপ জলে ১ চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। এ বার তুলোয় করে ক্ষত জায়গায় লাগিয়ে নিন। মিশ্রণটা শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দিনে দু’বার এই মিশ্রণ ব্যবহার করুন।
৮. সমস্যা বাড়লে বা ক্ষত জায়গায় সংক্রমণ হলে চিকিৎকের পরামর্শ নিন। এক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।