চুল নিয়ে স্টাইল করতে আমরা প্রত্যেকেই ভালবাসি। হেয়ার কাট হোক বা হেয়ার কালার একঘেয়ে লুকের বৈচিত্র্য আনতে চুলের সাজসজ্জা বেশ কাজে দেয়। তবে চুলের এই রকমারি স্টাইলিং বা হেয়ার কালারের জেরে একগাদা রাসায়নিকের অত্যাচার সহ্য করতে হয় আমাদের চুলকে। তাই প্রত্যেকবার হেয়ার কালারের ব্যবহারের পর চুলের বিশেষ পরিচর্যা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই চুলের স্বাস্থ্য বাচিয়ে কীভাবে হেয়ার কালার দীর্ঘস্থায়ী করবেন তার জন্য রইল কিছু দারুণ ঘরোয়া টোটকা।
অ্যাপেল মেয়োনিজ (Apple Mayonnaise)
মেয়োনিজের প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। এই প্রোটিন চুলের রঙ ধরে রাখে। এবং এই প্রোটিন একেবার চুলের গোড়ায় পৌঁছে চুলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায় এবং চুল নরম ও মসৃণ করে। এর ফলে চুলের রঙ আরও ভালভাবে ফুটে ওঠে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন
একটি পাত্রে ৩ বড় চামচ অ্যাপেল মেয়োনিজ নিয়ে চুলে ভালভাবে লাগিয়ে নিন। চুলে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ইষদুষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন। ভাল ফল পেতে সপ্তাহে অন্তত একবার এই প্যাক ব্যবহার করুন।
নারকেল তেল(Coconut Oil) দিয়ে মালিশ করুন
চুল ভাল রাখতে নারকেল তেলের জুড়ি মেলাভার। তবে রঙ করা চুলের যত্ন নিতে নারকেল তেলের অবদান জানা আছে কি আপনার? নিয়মিত রঙ করা চুল নারকেল তেল দিয়ে মালিশ করলে চুল তো ভাল থাকবেই চুলের রঙও দীর্ঘসময় ধরে বজায় থাকবে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন
মাথায় ভাল করে ২ বড় চামচ নারকেল তেল মেখে নিন। এবার ভাল করে গোড়া থেকে চুলের ডগা পর্যন্ত মালিশ করুন। মালিশ হয়ে গেলে তেল আধঘন্টা মাথায় রেখে সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু ও ইষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুবার আপনার চুল যদি এই পরিচর্যা পায় তাহলে তফাতটা হবে নজরকাড়া।
হোয়াইট ভিনেগারের(White Vinegar) সলিউশনে চুল ধুয়ে নিন
চুলে রঙ করার ফলে বিভিন্ন রাসায়নিকের পদার্থ ও টক্সিনস মাথার ত্বকে জমতে থাকে। এই সব পদার্থগুলির কারণে মাথায় খুশকি ও চুলের গোড়া আলগা হয়ে যেতে পারে। এই সব সমস্যা মোকাবিলায় খুবই উপকারী ভিনেগার। চুলের গোড়ায় জমে থাকা ময়লা দূর করে হেয়ার কিউটিক্যালের স্বাস্থ্য ভাল করে। চুল আরও বেশি সিল্কি ও শাইনি দেখায়।
কীভাবে ব্যবহার করবেন
একটি পাত্রে ২ টেবিলচামচ হোয়াইট ভিনেগার ও ইষদুষ্ণ জল মিশিয়ে একটি সলিউশন বানিয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু করার পর এই সলিউশন দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। ভাল ফল পেতে সপ্তাহে অন্তত দুবার এই সলিউশন ব্যবহার করুন।
(ছবি সৌজন্য: Pixabay)