সময়ের অভাবে কোনও রকমে ত্বক ও চুলের পরিচর্যা করতেই আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তার ওপর আবার কনুই বা হাঁটুর যত্ন? সময় বার করা তো পরের কথা চোখেও পড়ে না তাই মনেও থাকে না। এদিকে পিগমেনটেশনের ফলে কনুই বা হাঁটুর যা অবস্থা হয়েছে তা সহজে ঠিক হবে না। তা আপনি যতই স্ক্রাব বা সাবান ব্যবহার করুন। বরং উল্টে ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তা হলে দেখতে খুবই বাজে লাগবে। আবার স্ক্রাবিং না করে ময়শ্চরাইজার লাগালেও খুব একটে ফের বদল হবে না। তাহলে কী করবেন? ধৈর্য্য ধরে নিয়মিত এই ঘরোয়া পরিচর্যায় সারিয়ে তুলুন আপনার কনুই এবং হাঁটু।
১. কনুই বা হাঁটুতে লেবুর রস লাগাতে পারেন। কালো হয়ে যাওয়া অংশে লেবুর রস লাগিয়ে নিন। হাল্কা হাতে মালিশ করে নিয়ে ১০ মিনিট লাগিয়ে রেখে দিন। দশ মিনিট পর গরম জল দিয়ে কনুই ও হাঁটু ধুয়ে নিন। এইভাবে অন্তত দুসপ্তাহ লেবুর রস দিয়ে কনুই বা হাঁটুর যত্ন নিন। তফাতটা নিজেই দেখতে পারবেন।
২. দুধের সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে একটা ঘণ গাঢ় পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি এবার কনুই ও হাটুতে লাগিয়ে পাঁচ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার এটা লাগান। দুমাস পর তফাতটা বুঝতে পারবেন।
৩. অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে খুব ভাল ফল পাবেন। পিগমেনটেশনের প্রভাব তো কমবেই একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা ফিরে আসবে।
৪. সান বার্ন বা সান ট্যান সারিয়ে তুলতে অনেকেই টক দইয়ের ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রেও কনুই বা হাঁটুতে আপনি টক দই ব্যবহার করতে পারেন। হারানো আর্দ্রতা তো বটেই টক দই অনেকটাই হাল্কা করে দেবে কনুই ও হাঁটুর দাগ ছোপ।
৫. নারকেল তেলের মতো ভাল ন্যাচারাল ময়শ্চরাইজার আর হয় না। স্নানের আগে কনুই বা হাঁটুতে ভাল করে নারকেল তেল মালিশ করুন। এবার ইষদুষ্ণ জলে স্নান সেরে নিন। কনুই ও হাঁটুতে সাবান লাগাবেন না। শুধ স্নানের শেষে হাল্কা করে এই জায়গুলো মুছে নিন।