আবহাওয়া তারতম্য বা শারীরিক কোনও সমস্যা, অনেক কারণেই বেশি তেলেতেলে বা শুষ্ক হয়ে যেতে পারে মাথার ত্বক। খুশকি ও মাথার ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে পড়লে, সমস্যার সমাধান ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যবহার করুন প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি হেয়ার প্যাক বা মাস্ক। বাড়িতেই খুব সহজে বানিয়ে ফেলতে পারেন এগুলি। এর ফলে বাজারের নামী দামী ব্র্যান্ডের কড়া রাসায়নিকের কবলে পড়তে হয় না। আবার এগুলো কিনতে গিয়ে পকেটেও টান পড়ে না। কীভাবে বানাবেন এই হেয়ার মাস্ক জেনে নিন-
নারকেল তেল
প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসেবে নারকেল তেলের বেশ নামডাক রয়েছে। তাই ত্বকের হারানো আর্দ্রতা ফিরে পেতে নারকেল তেলের মালিশ করুন। এবং কিছুক্ষণ মাথায় রেখে দিন যাতে তেল ভালভাবে চুলে ও মাথার ত্বকে পৌঁছে যায়। তবে খুব বেশি সময় এটা মাথায় রাখবেন না। সব শেষে মাথা ভাল করে ধুয়ে নিন।
বেকিং সোডা
মাথার ত্বক এক্সফোলিয়েট করে বেকিং সোডা জমে থাকা ঘাম ও ময়লা পরিষ্কার করে দেয়। মাথার অতিরিক্ত তেল শুষে নেয় বেকিং সোডা। তবে এটা বুঝে শুনে ব্যবহার করতে হবে। বেকিং সোডার মাত্রা বেশি হলে মাথার ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যাবে। আপনার পছন্দের যে কোনও হার্বাল শ্যাম্পুর সঙ্গে ১ বড় চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। এটা মাথায় লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ মাথায় রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে প্রয়োজন অনুযায় এক থেকে দুবার ব্যবহার করুন।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি কার্যকারিতা আছে। একইসঙ্গে এতে আছে প্রচুর ভিটামিন ও প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ। এগুলি মাথার ত্বকের পরিচর্যা করতে সাহায্য করে। কোনও সমস্যা হলে দ্রুত সারিয়ে তোলে। অ্যালোভেরার পাতা থেকে জেল বার করে মাথায় লাগিয়ে নিন। ভাল করে মাথায় ডলে নিন। এরপর গরম তোয়ালে দিয়ে মাথা মুড়িয়ে রাখুন। কয়েক মিনিট রেখে মাইলড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এটা সপ্তাহে তিনি করতে পারেন।
নীম
নীমের অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল কার্যকারিতা আমরা সবাই জানি। তাই ত্বক থেকে চুল সব সমস্যার সমাধানে নীম একেবার অব্যার্থ। খালি পেটে নীমের পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন খুশকি কমবে। আর খেতে না চাইলে নীমের পাতা বেটে মাথায় ১০ থেকে ১৫ মাথায় লাগিয়ে রাখুন। এরপর জল দিয়ে ধুয়ে নিন।