ওয়েব ডেস্ক: আষাঢ় পড়তে এখনও হাতে ক’টা দিন বাকি। কিন্তু তাতে কী! আকাশের মুখ ভার, টিপটিপ বৃষ্টি, আর হাওয়ার টানেই টের পাওয়া যাচ্ছে—বর্ষা একেবারে দরজায় কড়া নাড়ছে। উত্তরবঙ্গে আগেই ঢুকে পড়েছে বর্ষা, আর দক্ষিণবঙ্গেও একটানা বৃষ্টিতে বেশ ভিজে উঠেছে গরমে পুড়ে যাওয়া মন। এর মধ্যেই যখন বাজারে চোখে পড়ছে রূপালি ইলিশের (Hilsa Fish) ঝলক, তখন আর নিজেকে সামলে রাখা মুশকিল!
বর্ষা আর ইলিশ তো যেন একে অপরের পরিপূরক। তবে বর্ষার দিনে যদি একটু ভিন্ন স্বাদের রান্না হয়, তাহলে খাওয়াটা যেন আরও একটু জমে ওঠে। তেমনই এক পুরনো, ও পার বাংলার রেসিপি হল ‘একচড়া ইলিশ’— স্বাদে ভরপুর, ঝাল-মিষ্টি টানটান একটা রান্না। খুব ঝামেলাও নেই, আবার রুচিতেও টান পড়ে না। দেখে নিন কীভাবে বানাবেন এই অসাধারণ পদ (Recipe)।
আরও পড়ুন: ওল খেলে ধরবে না গলা, চটজলদি বাড়িতে বানান এই রেসিপি
কী কী লাগবে?
ইলিশ মাছের টুকরো – ৪টি, মাঝারি পেঁয়াজ – ২টি, আদা – ২ গাঁট, রসুন – ৪-৫ কোয়া, কাঁচালঙ্কা – ৬-৭টি, ধনেপাতা – একমুঠো, লেবুর রস – ১ টেবিল চামচ, সর্ষের তেল – ১/৪ কাপ, গুঁড়ো দুধ – ৪ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ, নুন – স্বাদমতো, চিনি সামান্য।
কীভাবে বানাবেন?
প্রথমে মাছের টুকরোগুলিকে সামান্য নুন আর হলুদ মাখিয়ে ১০ মিনিট মতো রেখে দিন। এদিকে একটা মিক্সিতে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, কাঁচালঙ্কা আর ধনেপাতা দিয়ে জল না দিয়ে হালকা করে ঘুরিয়ে নিন—ব্যাপারটা যেন বাটা নয়, বরং কুচোনো মশলার মতো হয়।
এবার সেই মিশ্রণ মাছের উপর ঢেলে দিন। দিন লেবুর রস, এক চামচ তেল রেখে বাকি সব তেল, গুঁড়ো দুধ, এক চিমটে চিনি আর নুন। ভাল করে হাতে মেখে নিন সবটা। একটা প্যান গরম করে মশলা মাখানো মাছ দিন। মশলা লেগে থাকা বাটিতে একটুখানি জল দিয়ে সেটাও ঢেলে দিন। এবার ঢাকা দিয়ে মাঝারি আঁচে ১৫ মিনিট রান্না করুন। ১৫ মিনিট পর মাছ উল্টে দিন। দেখবেন, নীচের দিকটা সোনালি হয়ে এসেছে। এবার আবার ঢেকে ৫-৭ মিনিট রান্না হতে দিন। শেষে আঁচ বন্ধ করে উপর থেকে বাকি এক চামচ সর্ষের তেল ছড়িয়ে দিন। গরম ভাতের পাশে একপদেই জমে যাবে আপনার বর্ষার দুপুর- একচড়া ইলিশ রইল হাতের কাছে!
দেখুন আরও খবর: