হঠাৎ হেঁচকি! এই হেঁচকির ঠেলায় অফিস মিটিংয়ে কিংবা বাড়িতে অতিথিদের সামনে বিব্রত হয়েছেন বেশ কয়েকবার? জেনে নিন কীভাবে সামলাবেন নিজেকে। হেঁচকি উঠলে কীভাবেই বা নিয়ন্ত্রণে আনবেন?
প্রথমেই জানা দরকার আচমকা হেঁচকি ওঠে কেন?
সহজ ভাষায় বলতে গেলে গলার নলীতে আচমকা মাংসপেশির সঙ্কুচনে হেঁচকি ওঠে। এটা সাধারণত তখন হয় যখন ডায়াফ্রামের মাংসপেশি হঠাৎ সঙ্কোচিত হয় এবং এই সঙ্কুচনের ফলে ভোকাল কর্ডের আচমকা বন্ধ হয়ে যায়। আর এই বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে ‘হিক’ শব্দ ওঠে। কয়েক মিনিটের মধ্যে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায় ঠিকই কিন্তু অফিসে বা নিত্যদিনের কাজের মধ্যে এরকমটা হলে ভীষণ বিরক্তি লাগে। অন্যদের সামনে অপ্রস্তুতও হতে হয়। তাই জেনে নেওয়া দরকার কোন কোন কারনে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে এবং সমস্যার সহজ সমাধান-ই বা কী?
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হেঁচকি যেমন আচমকা ওঠে তেমন দ্রুত ঠিকও হয়ে যায়। নিত্যদিনের জীবনযাপনের কিছু অভ্যেসের কারনে অধিকাংশ সময়ে হেঁচকি ওঠে। যেমন–
হেঁচকি উঠলে সামালাবেন কীভাবে
হেঁচকির হয়রানি থেকে বাঁচতে বেশ কিছু টোটকা রয়েছে যা ভাল কাজ করে। তাই একটা যদি কাজ না হয় তা হলে পরেরটা চেষ্টা করে দেখতে পারেন। উপকার পাবেন।
ব্রিদিং, পশ্চার টেকনিক ও প্রেসার পয়েন্ট
হেঁচকির হায়রানির নিষ্পত্তি করতে অনেক রকম উপায় রয়েছে। যেমন কখনও নিশ্বাস নেওয়ার প্রক্রিয়ায় সামান্য বদল আনলেই আরাম মেলে। অনেক সময় শরীরের ভঙ্গিমায় পরিবর্তন আনলে হেঁচকি ওঠা আসতে আসতে বন্ধ হয়ে যায়। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাতর নির্দিষ্ট প্রেসার পয়েন্টে চাপ দিলে ডায়াফ্রাম চাপ মুক্ত হয় আবার গলায় থাকা ফ্রেনিক শিরাগুলি উদ্দীপিত হলে হেঁচকি বন্ধ হয়ে যায়।