পুষ্টিতে পরিপূর্ণ ওটসকে পৃথিবীর সবথেকে স্বাস্থ্যকর শস্য বলা হলে এক বর্ণও ভুল বলা হবে না। ভিটামিন, প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর ওটস আমাদের শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। তা ওজন কমানো থেকে শুরু করে ডায়বিটিস, হার্ট ভাল রাখতে তো বটেই, এ ছাড়াও ত্বক ও চুলের হাজারো সমস্যার প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় ওটস থাকলে প্রতিকার হবে এই শারীরিক সমস্যাগুলির।
১. পুষ্টিতে পরিপূর্ণ ওটসে কী আছে আর কী নেই!
ওটসে পুষ্টির প্রত্যেকটি উপাদান খুবই সুষম পরিমাণে আছে। কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার বিশেষ করে শক্তিশালী বিটা-গ্লক্যান(beta-glucan) ফাইবার রয়েছে। এটা ছাড়াও এতে বেশি প্রোটিন ও ফ্যাট রয়েছে অন্যান্য শস্যের তুলনায় অনেক বেশি।
২. ওটসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যন্টিঅক্সিডেন্ট
অ্যাভেনানথ্রামাইডসের (Avenanthramides) মতো একাধিক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে ওটসে। এগুলি থাকার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকরী ওটস।
৩. কোলেস্টেরল, ডায়বিটিস ও হজম শক্তি বাড়াতে উপকারী ওটস
ওটস-এ রয়েছে বিটা-গ্লুকান ফাইবার। এই বিশেষ ধরনের ফাইবার থাকায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা ও গাট ব্যাক্টেরিয়াকে সুস্থ রাখার পক্ষে এটি খুবই কার্যকর। এ ছাড়াও এটি খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে থাকে। এর ফলে খিদে কম পায়।
৪. হার্ট সুস্থ রাখে ওটস
ওটস রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে খুবই উপকারী।
৫. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে ওটস
ওটস-এ বিটা-গ্লুকান নামের যে ফাইবার রয়েছে তা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। টাইপ টু ডায়বিটিসের রোগীদের জন্য এটা বেশ কার্যকরী।
৬. ওজন কমাতে কার্যকরী ওটস
আপনার ওজন কমানোর পরিকল্পনা থাকলে, খাদ্যতালিকায় ওটস অবশ্যই রাখুন। ওটমিল দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। খিদে পাওয়ার মাত্রা কমিয়ে এনে শরীরে তৃপ্তি বাড়ায় যে PYY হরমোন, তা বাড়িয়ে তোলে ওটস।
৭. ত্বকের পরিচর্যায় ওটস
মিহি করে বাটা ওটমিল রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বক পরিচর্যার ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। এগজিমার মতো সমস্যার সমধানে কার্যকরী এই ওটমিল।
৮. হাঁপানি সারাতে কাজ দেয় ওটস
যে শিশুরা হাঁপানির সমস্যায় প্রায়ই ভোগে তাদের ওটস বা ওটমিল খাওয়ালে সমস্যার সুরাহা হতে পারে বলে গবেষণায় জানা গেছে।
৯. কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী ওটস
বেশি বয়সে বিভিন্ন শারীরিক অবস্থার কারণে অনেকেই কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। এক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী ওটস বা ওটমিল।
ব্রেকফাস্ট বা ডিনারে ওটসের খিচুড়ি বানিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়া ওটসের পায়েস খেতেও মন্দ লাগে না।