যেমন গন্ধ তেমন স্বাদ! বিট-গাজরের নাম শুনলেই নাক কুঁচকে যায় অনেকের। সত্যি বলতে কী, এত গুণ নিয়ে শুধুমাত্র গন্ধ ও স্বাদের কারণে চূড়ান্ত অবহেলিত এই সবজি। যদিও বিট-গাজারের এই স্বাদ ও গন্ধ নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত একটি ব্যাখ্যা রয়েছে, তবে আজ সে বিষয়ে বিশ্লেষণের আগে, বরং জেনে নেওয়া যাক ভাল স্বাস্থ্যের জন্য কেন অপরিহার্য সবজি বাজারের এই লালু-ভুলু।
পুষ্টিতে পরিপূর্ণ বিট-গাজরে ক্যালোরি নেই বললেই চলে
বিট-গাজরে একগুচ্ছ ভিটামিন ও প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ রয়েছে৷ কিন্তু সেই তুলনায় ফ্যাট বা ক্যালোরি খুবই কম। এ ছাড়াও ইনঅর্গানিক নাইট্রেট ও পিগমেন্টের মতো প্রাকৃতিক রাসায়নিক রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
বিট-গাজরে প্রচুর নাইট্রেট থাকায় এটি উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। এর ফলে হার্টের বিভিন্ন অসুখ যেমন হার্ট অ্যাটাক, হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া বা স্ট্রোকের মতো সমস্যার হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখে।
খেলোয়াড়দের জন্য খুবই উপকারী বিটের রস
শরীরে অক্সিজেনের প্রয়োগ ও ক্লান্তি কমাতে ভীষণ উপকারী বিটের রস। বিশেষ করে অনুশীলনের ২-৩ ঘন্টা আগে বিট বা বিটের রস যদি খাওয়া যায় তা হলে এটা বিভিন্ন কসরতে খুবই সাহায্য করে।
বিট গাজরের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি কার্যকারিতা রয়েছে
বিট-গাজরের একাধিক অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। এগুলি শরীর সুস্থ রাখতে বেশ কার্যকরী।
হজমশক্তি বাড়াতে খান বিট-গাজর
এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এই ফাইবারগুলি হজমশক্তি বাড়াতে খুবই কার্যকরী।
মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে বিট-গাজর
বিট-গাজরে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট রয়েছে। এই নাইট্রেট মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এর ফলে স্মৃতিভ্রমের মতো সমস্যার হাত থেকে মস্তিষ্ক রক্ষা পায়।
ওজন কমাতে খেয়ে দেখতে পারেন বিট-গাজরের রস
বিট-গাজরের রসে খুবই কম ক্যালোরি রয়েছে এবং ফ্যাট নেই বললেই চলে। এ দিকে প্রচুর পরিমাণে জল রয়েছে। তাই সকালের খাবারে বিট-গাজর খেলে বা স্মুদি বানিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
ক্যানসার রুখতে কার্যকরী বিট-গাজর
বিট-গাজরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে৷ এগুলির ক্যানসার রুখতে কার্যকরী।
বিট-গাজরে রয়েছে প্রচুর পটাসিয়াম
পটাসিয়াম স্নায়ু ও মাংসপেশির স্বাস্থ্যের জন্য খুবই কার্যকরী। নিয়ম মেনে বিটের রস খেলে শরীরে পটাসিয়ামের মাত্রা বজায় থাকে। পটাসিয়ামের মাত্রা খুব বেশি কমে গেলে প্রচণ্ড ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন।
বিট-গাজরে ফোলেট রয়েছে
সন্তানসম্ভবারা শিশুর ভাল স্বাস্থ্যের জন্য বিট-গাজরের রস খেতে পারেন। এর ফলে প্রিম্যাচিউরড বেবির সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
বিট-গাজরের কে আপনার নিয়মিত খাদ্যতালিকায় খুব সহজেই যোগ করতে পারেন। যেমন বিটরুট স্যালাড, বিটরুট ডিপ, বিটরুট জুস কিংবা বিটরুটের পাতা পালং শাকের মতো রান্না করেও খেতে পারেন।