প্রসাধনীর বাজারে বাথ বম্বস (bath bombs) আজকাল সুপার ট্রেন্ডিং। আগে নাম ছিল অ্যাকুয়া সিজলার (aqua sizzler)। ডিউস বলের মতো দেখতে এই বাথ বম্বের ব্যাপারই আলাদা। এগুলি বিশেষ রাসায়নিকে তৈরি, যা জলে দিলেই নিমেষে মিশে যায়। বাইকার্বোনেট বেস (bicarbonate base), উইক অ্যাসিড(weak acid), নানা রকমের এসেনশিয়াল অয়েল (essential ), সুগন্ধি ও কালারান্ট দিয়ে তৈরি করা হয় এই বলগুলি। আর এর কাজ হল পরিশ্রান্ত শরীর ও মনের ক্লান্তি মুছে এ বার তরতাজা করে তোলা। দেখতে যেমন সুন্দর, কাজেও তেমনি এই বাথ বম্বস। আর তাই চাহিদা বাড়ছে এগুলির। জেনে নিন কীভাবে আপনার কাজে লাগতে পারে এই বাথ বম্বস।
মনকে শান্ত করে
পছন্দমতো বাথ বম্ব বেছে নিয়ে বাথটাবে ফেলে দিন। শুকনো অবস্থায় কাজ করে না এই বাথ বম্বস। কিন্তু জলে দিলেই চটপট গুলে গিয়ে আসল খেলা দেখায় এই বলগুলি। বাথ বম্ব পুরোপুরি জলে গুলে গেলে বাথটাবে নেমে শরীর ও মন দুইয়ে জুড়িয়ে নিন। দেখবেন গোটা দিনের ক্লান্তি নিমেষে উধাও।
ত্বকে আর্দ্রতা জোগায়
তবে শুধু মন ও শরীরের ক্লান্তি নয় ত্বকেরও যত্ন নেয় বাথ বম্ব। ত্বকের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা জোগায় এগুলি। বাথ বম্ব ব্যবহারের পর দেখবেন ত্বক বেশ নরম, মসৃণ ও সতেজ হয়ে উঠবে।
ঘুমের সমস্যায় কাজে আসে
ব্যস্ত জীবনে ঘুমের সমস্যা হচ্ছে? সে কাজেও আপনাকে সাহায্য করতে পারে এই বাথ বম্ব। ব্যস্ততার কারণে বাড়তি উদ্বেগ ও চঞ্চল মনকে শান্ত করতে পারে এই বাথ বম্ব। এগুলি বানাতে যে প্রাকৃতিক উপকরণের ব্যবহার করা হয় সেগুলির প্রভাবে শরীর ও মন অনেকটাই শান্ত হয় এবং ভাল ঘুম হয়।
ডিটক্সিফিকেশনের কাজ করে
পরিবেশ দূষণের থেকে মুক্ত হতে স্নান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে স্নানের ক্ষেত্রে যদি এই বাথ বম্ব ব্যবহার করা যায় তা হলে আরও ভাল ফল হয়। বিশেষ করে যাঁদের ঘামে দুর্গন্ধ হয় তাঁদের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী এই বাথ বম্ব। বাথ বম্বে থাকা এসেনশিয়াল অয়েল ত্বকের ভিতরে গিয়ে ডিপ ক্লেনসিং করে।
পরিবেশ সুন্দর করে তোলে
এই বাথ বম্ব জলে মিশে গেলেই গোটা বাথরুমে এর সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। আর স্বাভাবিক ভাবেই এসেনশিয়াল অয়েলের এই সুগন্ধ মনে প্রশান্তি আসে। স্নিগ্ধ, সুন্দর পরিবেশে গোটা দিনের ক্লান্তি ভুলে যাবেন আপনি।
(ছবি সৌ: Unsplash)