ওয়েব ডেস্ক: প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে (Natural Disaster) আটকানোর ক্ষমতা নেই কারোরই। হঠাৎ আসা সুনামি (Tsunami) বা ভূমিকম্প (Earthquake) এক নিমিষে তছনছ করে দেয় সবকিছুই। কেড়ে নেয় বহু মানুষের প্রাণ। ধুলোয় মিশে যায় ঘরবাড়ি সবকিছুই। হঠাৎ আসা দুর্যোগকে (Natural Disaster) আটকাতে না পারলেও, ইঙ্গিত মিলবে বিপদের! এমনই এক অভিনব জিনিস এনে হাজির করল গুগল (Google)। কী সেটি? কী বা তার বিশেষত্ব? আসুন এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক খুঁটিনাটি।
এবার হাতেনাতে মিলবে বিপদের আঁচ। হাতে পড়তে হবে একটি ঘড়ি (Watch)। গুগল স্মার্টওয়াচে (Google Smartwatch) এবার মুশকিল আসান। কারণ গুগল স্মার্টওয়াচ (Google Smartwatch) এবার এনেছে ‘আর্থকোয়াক ডিটেকশন’ (Earthquake Detection) নামক এক বিশেষ ফিচার (Special Feature)। তবে এই প্রথম নয়, ২০২০ সালে বিদেশের মাটিতে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের (Android Smartphone) জন্য এই ফিচার হাজির করেছিল গুগল (Google)। ২০২৩ সালে ভারতে স্মার্টফোনেও আসে ফিচারটি (Feature)। তবে এবার হাতের স্মার্টওয়াচেই (Smartwatch) মিলতে চলেছে এই পরিষেবা।
আরও পড়ুন: বাড়িতে বানিয়ে নিন রথযাত্রার স্পেশাল জিলিপি
আর্থকোয়াক ডিটেকশন সিস্টেমের কার্যকারিতা:
সিজমোমিটার নয়, গুগল আস্থা রাখে মোশন সেন্সরেরে উপর। একসঙ্গে অনেকগুলি ফোন মাটির কম্পন অনুভব করলে, গুগলের সার্ভার চটজলদি তথ্য যাচাই করে ভূমিকম্প হচ্ছে কি না তা জানিয়ে দেয়। এরপরেই দ্রুত সেই সিস্টেম আশেপাশে থাকা ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে দেয়। তাতে জানানো হয়, নির্দিষ্ট ওই ইউজার কম্পনের কেন্দ্রস্থলের কতটা কাছাকাছি রয়েছেন।
মাটির কম্পন অনুভূত হলেই দ্রুত সেই সংকেত পৌঁছে যাবে যন্ত্রে। হাতে পড়া স্মার্ট ওয়াচ থেকেই মিলবে সব আপডেট। কিন্তু এই অ্যালার্ট ফোনের মতোই হবে কিনা সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি গুগল। বিপর্যয় ঠেকানো কঠিন, তবে তার আঁচ যদি কিছু সময় আগে মেলে তাতেও খানিক স্বস্তি মেলে মানুষের মনে। দেখা যাক, এবার এই নতুন স্মার্ট ওয়াচ সাধারণ মানুষের কতটা সুবিধা করতে পারে।
দেখুন অন্য খবর