রূপচর্চা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য ভাল রাখতে, মধুর এত উপকারিতার শেষ নেই। চিনির বদলে অনেকে যেমন মধু ব্যবহার করেন তেমন আবার কেও হেয়ার মাস্ক কিংবা ফেস মাস্কে মধু ব্যবহার করেন। আর এই সব কারণেই যে কোনও গৃহস্থ বাড়িতে নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর অন্যতম এই মধু।
তবে যাঁরা নিত্যদিন মধু ব্যবহার করেন তারা অবশ্যই লক্ষ্য করবেন যে অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের ব্যবহারে পর শেষের দিকে মধু কেমন যেন দানা বেঁধে য়ায়। এক্ষেত্রে অনেকেই বাদ বাকি মধু খাঁটি নয় ভেবে ফেলে দেন কিংবা ব্যবহার করা বন্ধ করে দেন। কিন্তু এই ধারণা ঠিক নয়। জানাচ্ছে ‘দ্য ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’ (FSSAI)। মধুর এই দানা বেঁধে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক একটা পক্রিয়া। তাই মধু দানা বেঁধে যাওয়া মানেই নষ্ট হয়ে যাওয়া কিংবা ভেজাল যুক্ত তা নয় এমনটাই জানাচ্ছে এফএসএসএআই (FSSAI). এই সংস্থার মানদন্ড অনুযায়ী মধু কখনও তরল, কখন আঠাল কিংবা কখনও আংশিক বা পুরোপুরি দানা বাঁধা হতে পারে।
কেন দানা বেঁধে যায় মধুর
নানা কারনে মধু দানা বেঁধে যায়। মধুর ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজের অনুপাতের ওপর এটা নির্ভর করে। মধু আসলে এই দুধরনের প্রাকৃতিক চিনি- গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজের মিশেল।
ফ্রুকটোজ যেখান তাড়াতাড়ি গুলে যায় সেখানে গ্লুকোজ সহজেই গুলে যায় না। তাই যখন মধুতে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায় তখন এটা জলে মিশতে সময় লাগে। এছাড়াও কোন তাপমাত্রায় মধু রাখা হয়েছে, কীভাবে মধু প্রোসেস করা হয় তার ওপর নির্ভর করে কেন মধুর দানা বেঁধে যায়। তাই দাঁনা বাঁধলেই যে মধু খাঁটি না তা কিন্তু নয়।
এদিকে আবার এটাও ঠিক মধুর বিপুল চাহিদার কারনে বাজারে ভেজাল মধুরও অভাব নেই। তাই বাজার থেকে আনা মধু ভেজাল মুক্ত কিনা তা এইভাবে পরখ করে নিতে পারেন।