বর্তমান যুগে অনেকটাই বদলেছে সমাজের ব্যবস্থা। আগের তুলনায় ঘরে বাইরে পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাধ মিলিয়ে চলছে নারী। তবে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এখনও নিজেকে প্রমাণ করার লড়াই জারি রেখেছে নারী। আর এই সমাজ ব্যবস্থা থেকেই তৈরি হয়েছে পরিবারের স্বার্থে নারির নিজেদের উজার করে দেওয়ার মনোভাব। নিজের যত্ন ও প্রয়োজনের উপেক্ষা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন খাদ্যাভ্যাসেও ভীষণ ভাবে রয়ছে এই বৈষম্য। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে গৃহকর্ত্রী বাড়ির সকলের পুষ্টির কথা ভাবলেও নিজের পুষ্টির অভাব বা ঘাটতি মাথায় রাখেন না। এখান থেকেই একাধিক শারীরিক সমস্যার সুত্রপাত ঘটে। তাই আর উপেক্ষা নয় স্বাস্থ্য ও স্ফুর্তি বজায় রাখতে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন এই সব খাবার। যেমন-
মহিলাদের নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ রাখা উচিত। পিরিয়ড থেকে শুরু করে প্রেগনেন্সি পর্যন্ত মহিলাদের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এই সব পুষ্টি খুবই গুরত্বপূর্ণ। কোন কোন খাবারে মিলবে এই সব পুষ্টি জেনে নিন-
ভিটামিন বি রয়েছে যে সব খাবারে
ভিটামিন বি অনেক প্রকারের হয়। যেমন বি-৬ বি-১২, ফোলিক অ্যাসিড ইত্যাদি। পিরিয়ডের সময় মুড সুইং থেকে শুরু করে রক্তাল্পতার মতো সমস্যায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ মাছ, ডাল, অ্যাভোকাডো, কলা , বিন, মাংস, দালিয়া, পনির ও ডিম। নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় এই সব খাবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাখলে উপকার পাবেন।
ভিটামিন সি রয়েছে যে সব খাবারে
স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকের জন্যেও সমান গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন সি। শরীরে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে তার জন্য বিভিন্ন ধরনের লেবু, ব্রোকলি, ক্যাপসিকাম, পালং শাক, স্ট্রবেরি, টমেটো, স্প্রাউটস সহ ইত্যাদি খাবার নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।
ভিটামিন এ রয়েছে যে সব খাবারে
ভিটামিন এ শুধু যে চোখ ভাল রাখে তা নয়। মহিলাদের গর্ভধারণের ক্ষেত্রেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ এটি। এর জন্য ডিম, চিংড়ি মাছ, দুধ, কুমড়ো, গাজর, বিট, পালং শাক ও আম খান।
ভিটামিন ডি রয়েছে যে সব খাবারে
মহিলাদের ক্ষেত্রে মোটা হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হল শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি। তাই হাড় মজবুত করতে ও শরীর থেকে বাড়তি মেদ কমাতে নিয়মিত দুধ ও ফ্যাটি ফিশ বা ওমেগা থ্রি রয়েছে সেরকম মাছ খেতে পারেন।