ভালবেসে রান্নাঘরে সময় কাটানো কিংবা খিদের তাগিদে রান্নাঘরে থাকা, কারণ যাই হোক না কেন দিনের বেশ খানিকটা সময় প্রত্যেকে কেই রান্নাঘরে কাটাতে হয়। দেখতে গেলে রান্নার উপকরণ জোগাড় করা, ব্যবহার শেষে সব কিছু গুছিয়ে রাখা এবং সব শেষে রান্নাঘর পরিষ্কার রাখতে রান্নার থেকেও বেশি সময় লাগে। না হলেই জীবাণু ও পোকামাকড়ের উত্পাতে নষ্ট হতে পারে আপনার ফুড হাইজিন। তাই পাকা রাধুনি কিংবা রান্নায় সদ্য খাতেখড়ি হয়েছে এমন, প্রত্যেকের কাজই সহজ করতে রইল কয়েকটি কিচেন হ্যাক্স। এইগুলো কাজে লাগালে রান্নাঘরে ঘেমে নেয়ে এক হতে হবে না।
রান্নাঘর ছোট থাকলে, রান্নার সময় সে একেবারে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়! এদিকে রান্নাঘর গুছিয়ে রাখলে রান্না করতেও সুবিধে হয়। তাই রান্নাঘরের নিত্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম যেমন নানা ধরনের হাতা, খুন্তি, চামচ দেওয়ালে ঝুলিয়ে রাখুন। একইভাবে দেওয়ালে শেল্ফ বা ছোট কার্ডবোর্ড দেওয়ালে লাগিয়ে রাখুন। এতে চা, কফি, নিত্য প্রয়োজনীয় মশলাপাতি গুছিয়ে রাখতে পারবেন। তাড়াহুড়োর সময় মশলাপাতি সহজেই হাতের কাছে পাবেন আবার ব্যবহার শেষে একই জায়গায় রেখে দিতে পারবেন।
ফল কিনে ফেলে না রেখে ভাল করে ধুয়ে, জল ঝরিয়ে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন। যে সব ফল তাড়াতাড়ি পেঁকে যায় যেমন কলা থাকলে সেলোফেন পেপারে মুড়িয়ে রাখুন এতে এথিলিন গ্যাস বেরোবে না। আবার এর উল্টো যদি কলা তাড়াতাড়ি পাকাতে চান তাহলে সারা রাত পেপার ব্যাগে রেখে দিন।
ব্রেকফাস্টে ডিম থাকলে কাজ অনেকটা সহজ হয়। কিন্তু অমলেট বানাতে হোক, কিংবা সানি সাইড আপ কিংবা আবার এগ ড্রপ সুপ কিংবা স্ক্র্যামবেল্ড এগ, ডিম ফাটানোর পর ডিমের খোসা হাতে আটকে বেশ বিব্রত হতে হয়। এবার থেকে ডিম ফাটানোর আগে হাত ভিজিয়ে নিন। দেখবেন আর হাতে ডিমের খোসা আটকে যাচ্ছে না। হাতের আঙুলে জল থাকলে আর ডিমের খোসা আটকে থাকবে না।
বাড়িতে নানা রকম সস বা চাটনি বানিয়ে খেতে পছন্দ করেন? তাহলে এই সব ধনেপাতার চাটনি, পুদিনার চাটনি, আদা, রসুনের তৈরি চাটনি চাইলে বরফের ট্রেতে জমিয়ে রাখুন। প্রয়োজন মতো ফ্রিজ থেকে বাইরে বার করে নিন। চাইলে টমেটোর পিউরি বানিয়ে এইভাবেই বরফের ট্রেতে জমিয়ে রাখতে পারেন। পরে প্রয়োজন মতো সুপ তৈরি করতে কিংবা ঝোলে, ঝালে ব্যবহার করতে পারেন।
সকাল হোক কিংবা বিকেল, পছন্দের খাবারে চিজ থাকলেই হল। আপনার আর কিছু লাগবে না। তবে চিজ গ্রেট করতে গেলে ঘেঁটে গিয়ে গ্রেটারে এমন ভাবে লেগে যায় যে চট করে পরিষ্কার করা যায় না। এবার থেকে এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এঁড়াতে গ্রেটারে তেল লাগিয়ে নিন। যদি চিজ গ্রেট করার আগে এটা করতে ভুলে যান। তা হলে চিজ গ্রেট করার পর এক টুকরো আলু দিয়ে গ্রেটার পরিষ্কার করে নিন। এতে গ্রেটারে লেগে থাকা সমস্ত চিজের কনা পরিষ্কার হয়ে যাবে। এর পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেললেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
(ছবি সৌ: Unsplash)