শীতকাল মানেই উৎসব-অনুষ্ঠান আর কবজি ডুবিয়ে খাওয়াদাওয়ার আনন্দ। সারা বছর রকমারি পদ যতই খান না কেন, এমন অনেকেই আছেন যাঁদের কাছে বিয়েবাড়ির সাজগোজ, হইহুল্লোড়ের থেকে বেশি আকর্ষণীয় হল বিয়েবাড়ির খাওয়াদাওয়া। তা পাত পেড়ে হলে ভালই, আর বাফে হলে তো কথাই নেই! তবে এত রকমের খাবার একসঙ্গে দেখে আবেগতাড়িত হয়ে মাত্রাতিরিক্ত খেয়ে ফেললেই কিন্তু বিপদ। অম্বল, পেট ফোলা থেকে শুরু করে পেট ব্যথা, এমনকি বাড়াবাড়ি হয়ে স্ট্রোকের সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে। একই সঙ্গে মাইন্ডফুল ইটিংয়ের অভ্যেস রাখা ভাল। এতে শুধু বিয়েবাড়ির খাওয়াদাওয়া নিয়ে নয়, গোটা বছরই সুস্থ থাকবেন।
শীতকালে উৎসব অনুষ্ঠানের খাওয়াদাওয়া কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন এই নিয়ে তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আয়ুর্বেদ চিকিৎসক নিকিতা কোহলি। এই পোস্টে বেশ কিছু টিপস ও শেয়ার করেছেনে নিকিতা, যাতে বিয়েবাড়িতে খাবার খেয়ে পরের দিন অ্যাসিডিটি বা অন্য কোনও পেটের সমস্যায় আপনাকে পড়তে না হয়। তা, কী করবেন জেনে নিন-
View this post on Instagram
প্রথমেই, যেটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল, আলাদা ধরনের খাবার এক সঙ্গে খাবেন না। যতই রকমারি পদ থাকুক না কেন, নিজের খাওয়ার ক্ষমতা বুঝে খান, বেহিসেবি হবেন না ।
টক খাবার যেমন চাট, ফুচকা খাওয়ার পর পর দুধের তৈরি খাবার যেমন নানা ধরনের ডেজার্টের দিকে হাত বাড়াবেন না। এর ফলে খাবারের গুরুপাক হয়ে বদহজম হতে পারে। তখন বিয়ে বাড়ির আনন্দটাই পুরো মাটি হয়ে যাবে।
মাছ বা মাংসের মশলাদার ঝোল বা ঝালের সঙ্গে হেভি প্রোটিন খাবার যেমন ডাল খাবেন না। যেমন ধরুন শাহি পনিরের সঙ্গে বা পরপর ডাল খাওয়া। বিয়েবাড়িতে এমনটা হলেই কিন্তু বিপদ হতে পারে। আপনি পেটের সমস্যায় ভুগতে পারেন।
এ ছাড়াও কোহলি এটাও জানিয়েছেন যে, অনেক ক্ষেত্রে এরকমও হতে পারে যে এক ধরনের খাবার খেলে আপনার আগে হয়ত কোনও সমস্যাই হয়নি তবে এখন হচ্ছে৷ এই নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। এটা অস্বাভাবিক কিছুই না। এ-রকমটা হতেই পারে। তাই শরীরের হজম ক্ষমতা বুঝে খাবার খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।