বিভিন্ন রকম পদ থেকে শুরু করে রূপচর্চা, টক দই, ইয়গহার্ট ও প্রোবায়োটিক ইয়গহার্টের কথা আমরা প্রায়শই শুনি। কিন্তু মুশকিল একটাই প্রোবায়োটিক ইয়গহার্ট যা বা সহজে বোঝা যায় টক দই ও ইয়গহার্টের ফারাকটা স্পষ্ট নয় অনেকের কাছেই। তাই এই নিয়ে তাঁর ইউটিউব অ্যাকাউন্টেএবার একটি ভিডিও পোস্ট করলেন সেলিব্রেটি শেফ কুনাল কাপুর।
টক দই বানাতে, প্রথমে দুধ ভাল করে ফুটিয়ে নিন এবং এটাকে ঠান্ডা করে ৩০ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়ায় হলে এতে এক চামচ টক দই দিয়ে দিন। টক দইয়ে ল্যাক্টিক অ্যাসিড ব্যাক্টেরিয়া-ল্যাক্টোব্যাকিলাস থাকে এটা দুধে মিশে বংশবৃদ্ধ করে।এবং কয়েক ঘন্টার মধ্যেই দুধে ফার্মেন্টশনের পর দই হয়ে যায়। এবং দইয়ে থাকা এই ব্যাক্টেরিয়া জীবন্ত অবস্থায় আমাদের অন্ত্রে পৌঁছালে হজম সহ অন্ত্রের অন্যান্য অনেক ক্রিয়ায় সাহায্য করে এটি। তবে বাড়িতে টক দই কে কীভাবে বানাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করছে টক দইয়ের এই উপকারিতা। এবং বাড়ি বাড়ি টক দইয়ের শক্তি আালাদা আলাদা হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে এই ব্যাক্টেরিয়া জীবন্ত অবস্থায় আমাদের অন্ত্রে পোঁছতেও পারে না।
ইয়গহার্ট তৈরির পদ্ধতিও একই তবে ল্যাক্টোব্যাকিলাস ছাড়াও আরও দুধরনের ব্যাক্টেরিয়া, ল্যাক্টোব্যাকিলাস বুলগারিস ও স্ট্রেপটোকোকাস থার্মোফিলাস যোগ করা হয়। আর এই দুটো ব্যাক্টেরিয়া দেওয়ার ফলে ইয়গহার্টের গুন ও সঠিক পরিমাণে ব্যাক্টেরিয়া বজায় রাখে।এগুলিকে গুড ব্যাক্টেরিয়া বলা হয়। এবং এগুলি বিজ্ঞানীরা ল্যাবে তৈরি করেন। এবং এর ফলে এগুলি অন্ত্রে পৌঁছানো পর্যন্ত জীবিত থাকে। এর ফলে হজম সংক্রান্ত বিষয়ে এটি ভীষণ কার্যকরী।
যে কোনও সামগ্রীকে প্রোবায়োটিক তখন বলা হয় যখন এতে জীবিত ব্যাক্টেরিয়া থাকে।এই প্রোবায়োটিক ইয়গহার্ট বিশেষ রকমের জীবিত ব্যাক্টেরিয়া দিয়ে তৈরি যেটা গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড, পিত্ত এবং বিভিন্ন রকমের প্যানক্রিয়েটিক জুসকে নিয়ন্ত্রণ করে। এতে থাকা ব্যাক্টেরিয়া অন্ত্রে জীবিত অবস্থায় পৌঁছায় এবং হজম সংক্রান্ত যাবতীয় ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখে। সঠিক অনুপাতে এই প্রোবায়োটিক ইয়গহার্ট খেলে ভাল কাজ করে।
ছবি সৌজন্য: Pixabay