কয়েকদিন ধরে কাজ করতে বসলেই কিছুক্ষণ যেতে না যেতে ঘুমে একেবারে ভারি হয়ে আসছে চোখের পাতা। আর তারপর থেকেই শুরু হয়ে কখন দু’ চোখের পাতা এক করতে পারবেন তার অপেক্ষা। মাঝে মধ্যে এমন অবস্থা হয় যে কাজের খেই হারিয়ে ফেলেন আর সেখানেই দেরি হয়ে যাচ্ছে। ফলে ইতিমধ্যেই ‘মিস’ হয়েছে বেশ কয়েকটা ‘ডেডলাইন’। আর কাজ জমতে জমতে হয়ে উঠেছে পাহাড় প্রমাণ। এই অসময়ের ঘুমের হাত থেকে রেহাই পেতে এই কাজগুলো করতে পারেন-
কফি খেতে পারেন
কফিতে ক্যাফেন চায়ের থেকে বেশি থাকে। আর ঘুম তাড়ানোর জন্য ক্যাফেন যে কতটা কার্যকরী তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে অসময়ের ঘুম তাড়ানোর চেষ্টায় আবার মাত্রাতিরিক্ত কফি খেয়ে ফেলবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। ফুড এক্সপার্টদের মতে এক জন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তি দিনে অন্তত ৪০ গ্রাম কফি খেতে পারেন।
জল খান
কাজের সময় বারবার ঘুম ঘুম কিংবা ক্লান্তি ভাব থাকলে সব সময় সঙ্গে জল রাখুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান এতে আপনার ত্বকও ভাল থাকবে শরীরও হাইড্রেটেড থাকবে।
ডিহাইড্রেশন যেন না হয়
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যে পর্যাপ্ত জল না খেলে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এর ফলে প্রভাবিত হয় ঘুমের নিজস্ব ছন্দ।
নিয়মিত শরীরচর্চা
জিম কিংবা যোগাসন আপনার সুবিধে মতো যেটাই বাছুন না কেন, চেষ্টা করুন তা নিয়মিত করার। অনেক সময় হাইপোরসমনিয়া থাকলে সারাক্ষণ ঘুম পায়। সময় থাকতে এই সমস্যার সমাধান না হলে এটা স্থুলতার কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। এর ফলে সারাদিন যেমন শরীর- মন যেমন চনমনে থাকবে তেমন কাজের মধ্যে ব্যাঘাত ঘটাতে পারবে না অসময়ের ঘুম।
দিনে অন্তত দু’বার স্নান করুন
কাজ করার সময় প্রচণ্ড ঘুম পেলে দিনে অন্তত দু থেকে তিনবার স্নান করুন। স্নান করলে যেমন শরীরের সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে গিয়ে শরীর তরতাজা হয়ে ওঠে। ফলে অসময়ের ঘুম বা ঝিম ভাব আপনার কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে না।
মিনিট দশেক ঘুমিয়ে নিতে পারেন
ঘুমের অভাবে বা অতিরিক্ত ক্লান্তির কারণে অনেকেরই দিনের বেলায় কাজর মধ্যে চোখ একেবারে লেগে আসে। এই সময় হাজারো চেষ্টা করেও কোনও ফল হয় না। এই সময় বরং ঘুম তাড়ানোর চেষ্টা না করে ঘুমের কাছে ধরা দিন। কাজের ফাঁকে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের ছোট একটা ব্রেক নিয়ে চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিন কিংবা ঘুমিয়ে পড়ুন। তবে এর বেশি নয়। এর ফলে দেখবেন নিজেকে অনেকটাই ফ্রেশ লাগবে বার বার ঘুমোনোর ইচ্ছে হবে না। একটি রিসার্চে দেখা গেছে কাজের ফাঁকে এই ক্ষণিকের ঘুম বা বিশ্রাম ব্রেক নিলে একদিকে যেমন ঘন ঘন ঘুমের হাত থেকে রেহাই পাবেন ঠিক তেমনি আবার স্মৃতিশক্তির বিকাস ঘটে।