ত্বক সুন্দর, সতেজ ও দাগছোপ মুক্ত থাকুক, তা কে না চায়? কিন্তু বাস্তবে তা হয়ে ওঠে না। কখনও আবহাওয়ার পরিবর্তন কখনও আবার শারীরিক অসুস্থতার জন্য ত্বকের একাধিক সমস্যা তৈরি হয়। এই সময় ডার্মেটোলজিস্ট বা বিউটি এক্সপার্টদের কাছে না গিয়ে ইন্টারনেটের দ্বারস্থ হন অনেকেই। এ ধরনের ত্বকের পরিচর্যা ও প্রসাধনীর ব্যবহার নিয়ে সোশাল মিডিয়া জুরে বিউটি ইনফ্লুয়েনসারদের একাধিক ভিডিয়ো। অল্প সময়ে ভাল ফল পেতে এই সব ঘরোয়া টোটকা যাচাই না করেই ব্যবহার করেন অনেকে। ফলে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে ত্বক। ইন্টানেটে ছড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি ধারণা ও ঘরোয়া টোটকা যথার্থ না ভ্রান্ত জানুন এখানে-
রোজ স্ক্রাব ব্যবহার করলে ত্বকের ন্যাচারাল সিবাম ও লাবণ্য নষ্ট হয়ে যায়। সাধারণত স্ক্রাবার বেশ কড়া হয়। এবং রোজ স্ক্রাবার ব্যবহার করলে ব্রণর সমস্যা হতে পারে এবং ত্বকের ক্ষতিও হয়।
এই ধারণাটা বহুল প্রচলিত কিন্তু এর কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। প্রত্যেক মাসে নিজে থেকেই আমাদের ত্বক সুপারফিসিয়াল কেরাটিনোসাইটস ঝরিয়ে ফেলে। তাই ঘণ ঘণ ফেসিশায় বা পিলস ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। একইভাবে ভুলেও ঘর্ষণকারী কোনও সামগ্রীও ব্যবহার করবেন না। এর ফলে ত্বকের উপকারের বদলে অপকার বেশি হবে।
রোদ থাকুক বা না থাকুক সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি খুব সহজেই আমাদের ত্বকে প্রবেশ করে। তাই দিনে শুধু একবার নয় বরং অন্তত দু’বার ব্যবহার করুন। এই অভ্যাসের ফলে অকালে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া কিংবা পিগমেন্টেশন অনেকটাই আটকাতে পারবেন আপনি।
তৈলাক্ত ত্বক যাঁদের তাঁরা বাড়তি তেলের থেকে মুক্তি পেতে বাজার চলতি নামী দামী সামগ্রীর ব্যবহার করেন। বিশেষ করে টোনার ব্যবহার করেন অনেকেই। কিন্ত জানেন কি অধিকাংশ টোনারে অ্যালকোহল থাকে। আর এর ফলে নিত্যদিনের ব্যবহারে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এবং এই অ্যালকোহল যুক্ত টোনারের ব্যবহারে ত্বকের লাবণ্য বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতাও হারিয়ে ফেলে আপনার ত্বক। ফলে ত্বক জৌলুসহীন হয়ে পড়ে।
এর ঠিক উল্টোটা হয়। এই এসেনশিয়াল অয়েলে এমন একটি পদার্থ থাকে যা ত্বকে জ্বালা, চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে ত্বকের নিজস্ব যে সুরক্ষা কবচ বা স্তর থাকে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। এবং এর ফলে ত্বকে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়।
রেটিনল ত্বকের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রোটিন কোলাজেনের বৃদ্ধি এবং ব্রণ, রোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়া, বলি রেখার মত সমস্যা, চামড়া কুচকে যাওয়ার মত সমস্যার হাত থেকে ত্বকের রক্ষা করে। তাই রেটিনল ২০ বছর বয়স থেকেও ব্যবহার করা যায়। এতে আরও ভাল কাজ হয়। এর ফলে ত্বক সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।