কলকাতা: বাঙালির খাদ্য প্রেম এবং ভোজন বিলাসিতার প্রতি গভীর আসক্তি আসলে তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাঙালির রসনা তৃপ্তির বিলাস তাই অন্য অর্থ বহন করে। বাঙালির খাদ্য শুধু পেট ভরায় না আবেগ এবং ঐতিহ্যের সাথেও তা গভীরভাবে জড়িয়ে থাকে। এটাই তাদের সংস্কৃতি। রসনা তৃপ্তির জন্য বাঙালির খাদ্য তালিকা যথেষ্ট দীর্ঘ।
বাঙালির নতুন বছর শুরু হয় পয়লা বৈশাখ দিয়ে। এই বিশেষ দিনটিতে স্বাদ পোশাক থেকে শুরু করে খাওয়া-দাওয়া সব কিছুতেই যেন ১৬আনা বাঙালিয়ানা চাই। নববর্ষের কয়েকদিন আগে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শাড়ি আর পাঞ্জাবির রমরমা আর সেই সঙ্গে নববর্ষের ‘বিশেষ’ মেনুর বাড়বাড়ন্ত।
আরও পড়ুন:অ্যাঞ্জেলিনা জোলির জীবনের উপর ভিত্তি করেই নাকি বানানো হয়েছে ‘কিলবিল’!
পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে একটি বাঙালি রেস্তোরাঁর বিশেষ মেনু ‘এসো বৈশাখে’। দ্যা ভোজ কোম্পানির রেস্টুরেন্টের সমস্ত আউটলেটে এই গ্র্যান্ড মেনুতে থাকবে বাঙালি ঐতিহ্যবাহী খাবারের পাশাপাশি জনপ্রিয় ডিশের সমারহ। এই বৈশাখী খাবার উৎসব চলবে ১২ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রতিটি ভজন রসিক বাঙালি নতুন সাজসজ্জার আনন্দের সঙ্গে বিভিন্ন রকমের বাঙালি খাবার উপভোগ করার জন্য অপেক্ষায় থাকেন। জিভে জল আনা খাবারগুলো এবং কালজয়ী রান্না উপভোগ করার জন্য বাঙালি যেন অপেক্ষা করে থাকে। ‘এসো বৈশাখে’র প্রাণবন্ত ফেস্টের মেনুতে থাকছে নস্টালজিক ও সুস্বাদু তালিকা যার মধ্যে আম পোড়ার শরবত থেকে শুরু করে গন্ধরাজ চিকেন ফ্রাই,কচুপাতা চিংড়ি বাটা বা মুরগি/ লইট্টা সীলে বাটা, দম পোলাও বা ভোজ স্পেশাল ঢাকাই মোরগ পোলাও, তার সাথে বিখ্যাত মটন কষা ও সর্ষে ইলিশ, এছাড়া দই কাতলা, চিতল মুইঠ্যা, ডাব চিংড়ি, ও শেষ পাতে মিষ্টি দই বা নলেন গুড়ের আইস ক্রিম | এখানেই শেষ নয়, ভোজের নজরকাড়া নববর্ষের মহাভোজ থালি হবে সবার প্রিয়|তাহলে বলতে হয় এস্প্লানেডে এই বছর কেনাকাটার সময় হোক বা দিঘা মন্দারমণি যাওয়ার পথেই হোক যেতে হবে এই রেস্তোরাঁয় |